The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখতে ব্যর্থ ১৩ বিভাগ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩টি বিভাগ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্বব্যাপী উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাতের নূন্যতম মানদণ্ড ধরা হয় ১:২০। অর্থাৎ প্রতি ২০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন করে শিক্ষক থাকতে হবে। কিন্তু এই অনুপাত বজায় রাখেনি বিভাগগুলো ।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ প্রকাশিত ৪৮তম বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ২৪টি বিভাগে পরিচালিত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। এর মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে সবচেয়ে পিছিয়ে ফোকলোর এবং আইন ও বিচার বিভাগ। বিভাগ দুটিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাত ১:৩৮। অর্থাৎ প্রতি ৩৮ জন শিক্ষার্থীর জন্য বিভাগটিতে শিক্ষক রয়েছেন মাত্র একজন। যা বিশ্বব্যাপী প্রচলিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাতের মানদণ্ডের ধারে-কাছেও নেই। এরপরের অবস্থানে রয়েছে লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগ।

এছাড়া যেসব বিভাগে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে আন্তর্জাতিক মান নেই সেগুলো হলো- ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং, অর্থনীতি, পপুলেশন সায়েন্স, হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, নৃবিজ্ঞান ও চারুকলা, স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগ। এছাড়াও শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে ভালো অবস্থান নিয়ে শঙ্কা পরিসংখ্যান বিভাগে। বিভাগটিতে ১২১ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে মাত্র ৪ জন শিক্ষক রয়েছে।

ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. তপন কুমার সরকার বলেন, “আমি জানি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। শিক্ষার গুণগত মান ঠিক রাখতে এই অনুপাত কমানোর বিকল্প নেই। তবে শিক্ষার্থী সংখ্যা না কমিয়ে শিক্ষক বাড়ানো উচিত। নাহলে বড় সংখ্যক শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে।”

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. শেখ সুজন আলী বলেন, “আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত নিশ্চিত করা উচিত। করোনাকালীন সময়ে শিক্ষক নিয়োগে জটিলতা থাকায় নতুন কিছু বিভাগে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে তারতম্য হয়েছে। তবে ধীরে ধীরে এটি সমাধান হবে।”

ইউজিসির প্রতিবেদনে আরো দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৬ হাজার ৫ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন ২৬৮ জন। অর্থাৎ প্রতি ২২ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক আছেন একজন করে। এর মধ্যে আবার ৩৫ জন শিক্ষক আছেন শিক্ষাছুটিতে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.