The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

বৌদ্ধ পূর্ণিমা সহ টানা তিন দিনের ছুটিতে সৈকতে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস

তাফহীমুল আনাম,কক্সবাজারঃ সাপ্তাহিক ছুটির পাশাপাশি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মাগি পূর্ণিমার বন্ধ থাকায় সৈকতে ভীড় করেছেন লাখো পর্যটক। শীতকালীন ভ্রমণে দেশী-বিদেশী পর্যটকে পদভারে মুখরিত সৈকত । এ সময় বছরের পুরোটা সময় জুঁড়ে পরিপূর্ণতায় থাকে পর্যটকের । তবে শীতে এ সংখ্যা বেড়ে যায় বহুগুণ । শীত মানে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য আনন্দের মাস ভ্রমণের জন্য প্রথম পছন্দ সৈকতে নীল নীলাভূমি। বালিয়াড়িতে পা পেলে সূর্যাস্ত উপভোগ করা যেনো ভ্রমণ প্রেমীদের নেশা।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারী ) বিকালে সরেজমিনে দেখা যায়,কলাতলী থেকে লাবণী পয়েন্ট পযর্ন্ত যতদূর চোখ যায় শুধু মানুষ আর মানুষ।সৈকতে নীল জলরাশিতে সমুদ্র স্নানে ব্যস্ত অনেকে । কেউ উষ্ণতার খুঁজে নামছেন নোনা জলে কেউ ওয়াটার বাইকে , কেউ ঘোরার পিটে চড়ে, কেউ আবার বন্ধুদের সাথে সেলফিতে মেতেছেন। যে যার যার মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে।

সপ্তাহ জুড়ে ব্যস্ততারপর নিজেদের প্রশান্তির জন্য কিংবা পাঠ্য পুস্তকের গণ্ডি পেরিয়ে বনভোজনে আসেন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। আলহাজ্ব মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মুমিনুল আফ্রিদি বলেন, সৈকতে আমার প্রতি বছর শীতে আসা হয়।জনবহুল নগরে থাকতে জীবনটা এক প্রকার যান্ত্রিক হয়ে ওঠে। তাই কোলাহলমুক্ত ও নির্মল প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে কক্সবাজার ছুটে আসি। এর সৌন্দর্য্যই আলাদা। তাই বারে বারে ছুটে আসি কক্সবাজারে।

ঢাকা থেকে আসা কলেজ ছাত্রী মদিনা আহমেদ অপ্সরা বলেন, সমুদ্র সৈকতে আমার প্রথম বার আসা । নিরিবিলি প্রকৃতির সাথে সময় পার করতে কক্সবাজারে এসেছি । রুম পেতে একটু কষ্ট হয়েছে। তবে সমুদ্রে নোনা জলে ৩ ঘন্টা গোসল করে সব ভুলে গেছি।

ঝিনুক মার্কেটের সভাপতি নাজমুল হাসান বলেন, নানান দিনের চেয়ে শুক্র-শনি দুই দিনে স্থানীয়, ও দেশী- বিদেশী পর্যটক একটু বেশি থাকে। ইদানিং দেখা মিলছে সৈকতে বিদেশী পর্যটকের আনাগোনা। পর্যটক বেশি থাকলে আমাদের ব্যবসা ও ভালো। এবং পুরো শীতে জুড়ে আরও আসবে বলে আমরা আশাবাদী।

শীতে বিপুল পর্যটকদের সমুদ্র স্নান নিরাপদ করতে নজরদারি বাড়িয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফগার্ড কর্মীরা।

সিনিয়র লাইফগার্ড ভুট্টো মজুমদার বলেন, শুক্র-শনি এই দুই দিনে সৈকতে পর্যটকের বেশ আনাগোনা দেখা যাচ্ছে । সৈকতের কলাতলী পয়েন্ট থেকে লাবণী পয়েন্টে লোকে লোকারণ্য। পর্যটকদের সমুদ্রস্নান নিরাপদ রাখতে তিনটি পয়েন্টে লাইফ গার্ডের ৪০ জন কর্মী সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছেন। এবং আমরা সর্বদা পর্যটকদের সেবা দিতে প্রস্তুত।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন,পর্যটকদের নিরাপত্তায় সৈকত ও আশপাশে পোশাকধারী পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সৈকতে বিচ বাইক নিয়েও রয়েছে টহল। তিনটি বেসরকারি লাইফ গার্ড সংস্থার অর্ধশতাধিক প্রশিক্ষিত লাইফগার্ড কর্মী। কন্ট্রোল রুম, পর্যবেক্ষণ টাওয়ারসহ পুরো সৈকতে পুলিশের নজরদারির আওতায় রয়েছে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.