মোস্তাক মোর্শেদ, ইবিঃ বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অর্থনীতি বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় ১৪০০ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে পিঠা উৎসব, আনন্দ র্যালি, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে উদযাপন করা হয় সাবেক ও বর্তমানদের এই মিলন মেলা।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ ভবন শুরু হয় আনন্দ র্যালির মাধ্যমে ১৯৮৭-৮৮ ব্যাচ থেকে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত সবাই একত্রিত হয়। বহুদিন পর সতীর্থদের সঙ্গে মিলিত হয়ে নাচে-গানে মাতোয়ারা হয়ে নানা বয়সের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা অংশ নেন র্যালিতে। এসময় র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এসে শেষ হয়। মিলনায়তনে উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তফা আরীফ। এসময় অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মিথিলা তানজিলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার ও সাবেক অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. মতিনুর রহমান।
সাবেক অর্থনীতি বিভাগের ২০০২-০৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আজিম বলেন, ২০১৮ সালে সমাবর্তনে এসেছিলাম ওই সময় অনেক ভালো লেগেছিলো। তারপর যখন শুনলাম পুর্নমিলনী হবে এ কথা শুনার সাথে সাথেই রেজিস্ট্রেশন করে ফেললাম। আজ সেই মাহেন্দ্র দিন। সিনিয়র, জুনিয়র, বন্ধু সকলের সাথে দেখা হচ্ছে। এ এক অন্যরকম অনুভূতি। খুবই ভালো লাগছে। উপভোগ করছি। আশা করি আজকের দিন অনেক ভালো কাটবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, অর্থনীতি বিভাগ একটি চক্ষুষ্মান মানুষ তৈরির জন্য অন্যতম জায়গা। আমাদের এমন কোনো জায়গা নাই যেখানে অর্থনীতি অনুপ্রবেশ নাই। একটি দেশ কিংবা পুরো বিশ্বের মূল চাবিকাঠি হচ্ছে অর্থনীতি। আমার দৃঢ়বিশ্বাস শিক্ষায়, প্রশাসনে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জায়গাটায় আমাদের অর্থনীতি বিভাগের অ্যালামনাইরা অবদান রাখবে। আর এই প্লাটফর্মটা নিজ বিভাগের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজদের জন্যও তৈরি করে দিবে।
এর আগে গত ৩রা ফেব্রুয়ারি মীর মোশাররফ হোসেন ভবন প্রাঙ্গণে বিভাগের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।