কোটার ভিত্তিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রিটকারী ১৭৬ জনকে মেধার ভিত্তিতে কেন নিয়োগ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় চূড়ান্ত অনুত্তীর্ণ দেশের বিভিন্ন জেলার ১৭৬ জন চাকরিপ্রার্থী হাইকোর্টে এই রিট দায়ের করেন।
রোববার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. কামাল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। জনপ্রশাসন সচিব, শিক্ষা সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
নোয়াখালীর মো. মোহন চৌধুরী, সিরাজগঞ্জের মো. খোকন শেখ, ভোলার তানজিল হোসেন, আবুল কালাম আজাদসহ বিভিন্ন জেলার ১৭৬ জন প্রার্থী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। রিটে প্রাথমিক শিক্ষক বিধিমালায় কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া ও মেধার ভিত্তিতে না নিয়োগ দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।
উল্লেখ্য গত ১৪ ডিসেম্বর দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন।