কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার সাড়ে ১২ টার দিকে টেকনাফ দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে ৬১০জন যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।
জাহাজ মালিক সমিতি স্কোয়ার’র সভাপতি তোফায়েল আহমদ জানান, চলতি পর্যটন মৌসুমে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন নো-রুটে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ১২ টার দিকে এমভি পারিজাত ও এমভি রাজহংস নামের দুটি জাহাজ ৬১০জন যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। আগামী শনিবার থেকে অন্যান্য জাহাজ গুলো চলাচল করবে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো: আবু সুফিয়ান জানান, সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিবেশের কিছু শর্তসাপেক্ষে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পরে অন্যান্য জাহাজ গুলো সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে চলাচল করতে পারবে
নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা ফাতেমা আক্তার বলেন, বেড়াতে আসছিলাম কক্সবাজারে । জাহাজ সংকটের কারণে সেন্টমার্টিন ভ্রমণের লক্ষ্য ছিলো না। কিন্তু হঠাৎ করে টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচল হওয়ায় রাতেই তড়িঘড়ি করে টিকেট কেটে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে স্বপ্নের দ্বীপ সেন্টমার্টিন যাচ্ছি। খুবই ভালো লাগছে।
কুড়িগ্রাম থেকে আসা তুহিন সবুজ বলেন, আগে জানতাম এই রুটে জাহাজ বন্ধ। কাল রাতেই জানতে পারলাম আবার খুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আর দেরি করলাম না। রাতেই রওয়ানা দিয়ে দেই। আর এখন নাফ নদী অপরুপ মোহনা ও দুপাশের নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে দেখতে সেন্টমার্টিন যাবো।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) সভাপতি আনোয়ার কামাল বলেন, পর্যটন মৌসুমের আর মাত্র দুই মাস সময় বাকি আছে। এই দুই মাসে আমরা পর্যটকদের সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করে আনন্দ দিতে চাই। টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে অনেক শিক্ষার্থী ভ্রমণ করে। আবার অনেক অসচ্ছল লোকজনও সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে চায়। জাহাজ মালিকদের আমরা অনুরোধ করবো যারা অক্ষম তাদের টিকিটমূল্য বিবেচনা করতে। সর্বোপরি আমরা আশা রাখছি পর্যটকরা নিরাপদে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে পারবে।
উল্লেখ্য, নাফনদীতে নাব্রতা সংকট ও মিয়ানমারে চলমান সংঘর্ষের কারণ দেখিয়ে চলতি পর্যটন মৌসুমে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখে প্রশাসন। একারণে টেকনাফ থেকে কোন জাহাজ এতদিন সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে চলাচল করেনি।