জুমাবার সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। শরিয়তের বিধান অনুযায়ী এই দিন দুই রাকাত জুমার ফরজ নামাজ পড়তে হয়। আছে কিছু সুন্নত ইবাদতও।
জুমার গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য সম্পর্কে পবিত্র কোরআনুল কারিমে মহান রাব্বুল আলামিন এরশাদ করেছেন , ‘হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে তাড়াতাড়ি করো এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ। অতঃপর নামাজ সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ করো, যাতে তোমরা সফলকাম হও। (সূরা জুমা, আয়াত : ৯-১০)
জুমার দিন নির্দিষ্ট সময়ে জুমার নামাজ পড়তে হয়। এই সময়ের মধ্যে ইমাম ছাড়া আরও তিনজন মুসল্লি উপস্থিত থাকতে হয়। একাকী জুমার নামাজ আদায় করা যায় না। নামাজের নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলে জুমার পরিবর্তে জোহর পড়তে হয়। শরিয়তের বিধান অনুযায়ী জুমার দুই রাকাত ফরজ নামাজ পড়া আবশ্যক। তবে ফরজের আগে ৪ রাকাত ও ফরজের পরে ৪ রাকাত সুন্নতও রয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে মোট ১০ রাকাত।
মুসলিম শরীফে আছে—নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমাদের মধ্যে কেউ জুমার নামায আদায় করে সে যেন ফরজের পরে চার রাকাত পড়ে।’ অপর বর্ণনায় আছে, ‘তোমাদর মধ্যে যে ব্যক্তি জুমার পরে নামায পড়তে চায় সে যেন চার রাকাত পড়ে।’
অতএব জুমার পরের চার রাকাত সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।—(সহীহ মুসলিম : ১/২৮৮; মাজমাউল আন্হুর : ১/১৯৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/১১২; ফাতাওয়া রহীমিয়া : ৫/২২৬)