টিউশনি থেকে বাদ দেওয়ায় ক্ষোভে স্কুলছাত্রী তাসমিয়া হোসেন অদিতি ধর্ষণের পর হত্যা করেন গৃহশিক্ষক আবদুর রহিম রনি (২৫)। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
গ্রেপ্তার আবদুর রহিম রনি নোয়াখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার খলিল মিয়ার ছেলে এবং অন্যজন একই এলাকার অজি উল্যাহর ছেলে।
পুলিশ সুপার মো. শহীদুল বলেন, এক বছর ধরে ওই ছাত্রীকে পড়াতেন আবদুর রহিম রনি। তিন মাস আগে তাকে টিউশনি থেকে বাদ দিয়ে দেন। তবে পূর্বের পরিচিত হওয়ায় রনি মাঝেমধ্যে বাসায় আসতেন। এমনকি ঘটনার পর রনি ধর্ষণ ও হত্যাকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য পুরো ঘর উলট-পালট করে ফেলে। আমরা খবর নিয়েছি তাদের বাসায় কোনো মালামাল খোয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীর সদর উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, আটক ১
তিনি বলেন, রনি বিবাহিত এবং একটি কোচিং সেন্টারের মালিক।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, নিহতের মা অভিযোগ করেছে অজি উল্যাহর ছেলে তার মেয়েকে বিভিন্ন সময় উক্ত্যক্ত করত। তাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধান আসামি গৃহশিক্ষক আবদুর রহমান রনি। আমরা আসামিদের আদালতের মাধ্যমে রিমান্ড প্রার্থনা করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করব।