দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বব্যাংকের নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ একটি উন্নয়ন সাফল্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বিগত ৫০ বছর ধরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় অংশীদার হতে পেরে গর্বিত।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের জনসংযোগ কর্মকর্তা মেহরিন আহমেদ মাহবুব এ তথ্য জানান।
রাইজার বলেন,বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা থেকে অন্যান্য দেশ শিখতে পারে। বিশ্বব্যাংক দেশটিকে একটি টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির পথে চলতে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের সমর্থন অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা রক্ষায় সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজন্য বেসরকারি খাতে প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা নিশ্চিত করতে হবে এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে সময়োপযোগী নীতিগত পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিশ্বব্যাংক জানায়, রাইজার অর্থমন্ত্রীর সাথে দেখা করেছেন এবং কোভিড-পরবর্তী দ্রুত পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের প্রশংসা করেছেন। তারা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং অর্থনৈতিক নীতির প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেছেন। অনিশ্চয়তা এবং ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে এর প্রবৃদ্ধির গতিধারা অব্যাহত রাখতে এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বাড়াতে- বাংলাদেশকে তার জাতীয় পরিকল্পনাগুলোতে নির্ধারিত সংস্কার অগ্রাধিকারের পথে চলতে হবে বলে জানায় সংস্থাটি।
সফরকালে রাইজার প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ. রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন বলে জানায় বিশ্বব্যাংক।
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার গত সোমবার বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। দায়িত্ব পাওয়ার পর বাংলাদেশে এটিই তার প্রথম সফর। রাইজার জার্মান নাগরিক। চলতি বছরের ১ জুলাই তিনি দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পান। এর আগে তিনি চীন, মঙ্গোলিয়া এবং কোরিয়ায় বিশ্বব্যাংকের ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেন। এছাড়াও তিনি তুরস্ক ও ব্রাজিলে কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।