গুচ্ছভুক্ত ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম থেকে কেউ যদি বেরিয়ে যায় সেটাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মুনাজ আহমেদ নূর।
গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষা নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অনীহার বিষয়ে শুক্রবার (০৪ মার্চ) দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক মুনাজ আহমেদ বলেন, সমন্বিত ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কে থাকবে কে থাকবে না- এটা সবার নিজেদের সিদ্ধান্ত। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের একাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত করে এ পদ্ধতি আসছে। কেউ যদি চলে যেতে চায় তাহলে একাডেমিক কাউন্সিল করে চলেও যেতে পারে।
তিনি বলেন, গুচ্ছে থাকা না থাকা নিয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এ বিষয়ে কোনো নীতিমালাও করা হয়নি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অনীহার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যাপক মুনাজ আহমেদ বলেন, যতটুকু শুনেছি এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তারা যদি গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যায় তাহলে শিক্ষার্থীদের কাছে একটা ‘ব্যাড মেসেজ’ যাবে। তারা নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দেখিয়ে বেরিয়ে গেলে কারো কিছু বলার থাকবে না।
এর আগে, গত বুধবার (০২ মার্চ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় চলতি বছরে গুচ্ছভুক্ত ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় না যাওয়ার পক্ষে মত তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তবে এ বিষয়ে পরবর্তী একাডেমিক কাউন্সিলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানা গেছে।
জবি শিক্ষক বলছেন, আয়োজক কমিটি শুরুতে শিক্ষার্থীদের আর্থিক সুবিধা, যাতায়াত সুবিধা, থাকা-খাওয়ার সুবিধাসহ সার্বিক ভোগান্তি হ্রাসে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার কথা জানায়। তবে, বিভাগ পরিবর্তন ইউনিট শুরুতেই বাদ দেওয়া, পরীক্ষার ফি আচমকাই বাড়িয়ে ফেলা এবং সর্বশেষ মানবিক ও বাণিজ্য অনুষদের পরীক্ষার ফলাফলে তীব্র অসঙ্গতিতে গুচ্ছ ভোগান্তির কারণ হয় হাজারো ভর্তিচ্ছুর।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেছেন, গুচ্ছে যাওয়ার ব্যাপারে সভায় অনেক শিক্ষক পক্ষে-বিপক্ষে মতামত দিয়েছেন। সামনের সভায় আমরা পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্ত নেবো।