রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, এবারের এই দিন ১০ জানুয়ারি একটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৭ জানুয়ারি আমরা অভূতপূর্ব এক বিজয় অর্জন করেছি। যদিও তা নতুন কিছু নয়, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আমাদের এর চেয়ে বেশি মাত্রায় বিজয় অর্জন হয়েছিল। মানুষ বিপুল মাত্রায় নৌকাকে জয়ী করেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সকাল ১১টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
উপাচার্য তাঁর বক্তৃতায় বলেন, এবারের এই দিন ১০ জানুয়ারি একটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, ৭ জানুয়ারি আমরা অভূতপূর্ব এক বিজয় অর্জন করেছি। যদিও তা নতুন কিছু নয়, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আমাদের এর চেয়ে বেশি মাত্রায় বিজয় অর্জন হয়েছিল। মানুষ বিপুল মাত্রায় নৌকাকে জয়ী করেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে তিনি ধারণ করেন, সেই নৌকার বিপুল বিজয় হয়েছে। আমি আমার পক্ষ থেকে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আপনাদের সবার পক্ষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।
উপাচার্য বলেন, তাঁর যে নেতৃত্ব তা বিশ্বে আজ সমাদৃত। আসলে এটা খুবই স্বাভাবিক। জেনেসিস বলে একটা কথা আছে। উনি যেই ঘরে জন্ম নিয়েছিলেন এবং যে কষ্ট উনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত করেছেন, যে কষ্টের মধ্য দিয়ে উনি বাংলাদেশকে অনুভব করেছেন তারই উপস্থিতি আজকে দেখতে পাচ্ছি। আজকে ২০২৪ সালের বাংলাদেশ, উন্নয়নের বাংলাদেশ। যে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেন, আমি যেখানে হাত দেই সেখানেই দেখি বাবার ছবি। বঙ্গবন্ধুর প্রতি আমাদের যে ঋণ, তা বঙ্গবন্ধুকে আসলে না বুঝলে, না জানলে বোঝা যাবেনা যে উনি বাঙালিকে নিয়ে কত ভাবতেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, বাড়িতে ফিরেই বাবা দাদা-দাদীকে সালাম করেন, তারপর ছুটে যান আমার মায়ের কাছে। আবেগে জড়িয়ে ধরেন দু’জন দুজনকে। এই মুহূর্তটা আমি কোনদিন ভুলতে পারবো না। কী ধৈর্য্য, কী মহান ত্যাগ, কী দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর এই মহা মিলন। এই কষ্ট এখনো বঙ্গবন্ধুর কন্যা ও তাঁর পরিবার বয়ে বেড়াচ্ছে।
উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে আলোচক ছিলেন লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক প্রণব কুমার পান্ডে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার ও বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক। সেখানে মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রবিউল ইসলামও বক্তব্য রাখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আবদুস সালাম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক, অনুষদ অধিকর্তা, ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভাগীয় সভাপতি, হল প্রাধ্যক্ষসহ বিশিষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।