বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের কুইন মেরি কলেজ থেকে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস লতে ৭৩ বছর বয়সে মাস্টার ডিগ্রি (এলএলএম) অর্জন করেছেন।
আবদুল আউয়াল মিন্টু ২০১৭ সালে ইউনিভার্সটি অব লন্ডনে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস লর ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হন। তিনি সাফল্যের সঙ্গে চারটি কোর্স সম্পন্ন করেন। লন্ডনের বার্বিকান সেন্টারে গত সোমবার (৬ মার্চ) গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে আবদুল আউয়াল মিন্টু এ সনদ গ্রহণ করেন।
৭৩ বছর বয়সে বাবার এমন অর্জনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ছেলে তাবিথ এম আউয়াল সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডি থেকে একটি পোস্ট করেন।
তাবিথ আউয়াল তার পোস্টে লিখেছেন, ‘আমার বাবা আবদুল আউয়াল মিন্টু প্রতিনিয়ত তার কাজের মধ্য দিয়ে আমাদের অনুপ্রাণিত করেন। রাজনীতি, সমাজসেবা, ব্যবসা সবকিছু সামলে এখনও জ্ঞানচর্চার জায়গায় বিন্দুমাত্র ছাড় নেই। বরং প্রতিবছরই যেন আমাদের জন্য সফলতার নতুন নতুন মান নির্ধারণ করে দেন তিনি। আজ বাবাকে আবারও অভিনন্দন জানাই, তার তৃতীয় মাস্টার ডিগ্রি (মাস্টার অব লজ) অর্জনের জন্য।’
উল্লেখ্য, এর আগে আবদুল আউয়াল মিন্টু আরও দুটি বিষয়ে মাস্টার্স করেন। একটি অ্যাগ্রিকালচারাল অব ইকোনমিকস, অন্যটি মেরিন ট্রান্সপোর্টেশন।
১৯৪৯ সালে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় আবদুল আউয়াল মিন্টুর জন্ম। তিনি ফেনী পাইলট হাইস্কুল থেকে ১৯৬৪ সালে এসএসসি এবং ১৯৬৬ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ১৯৬৮ সালে চট্টগ্রামের মার্কেন্টাইল মেরিন একাডেমি থেকে নৌবিজ্ঞানে ডিপ্লোমা করেন। এরপর মেরিন একাডেমি থেকে জাহাজের ক্যাডেট হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন।
১৯৭৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে নিউইয়র্ক স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে মেরিন ট্রান্সপোর্টেশন বিজ্ঞানে বিএসসি ডিগ্রি ও ১৯৭৭ সালে মাস্টার্স (এমএসসি) করেন। যুক্তরাষ্ট্রে পড়ালেখা শেষে সেখানকার একটি জাহাজ কোম্পানিতে চাকরি নেন তিনি।
এরপর ১৯৮১ সালে এই চাকরি ছেড়ে তিনি দেশে ফিরে শিপিং ব্যবসায় যুক্ত হন। তিনি ১৯৮৩ সালে দেশের প্রথম বেসরকারি ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম।
১৯৯৫ সালে লাল তীর সিড কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। সেই থেকে দেশে মানসম্পন্ন সবজি বীজ উৎপাদন ও সরবরাহে কাজ করে যাচ্ছেন। লাল তীর সিড এখন দেশের শীর্ষ সবজি বীজ কোম্পানি। বিদেশেও এই বীজ রপ্তানি হচ্ছে।