কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে ইউরোপের দেশগুলির আপত্তি পুরানো নয়।মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দাবি তুলা হয়েছে বারবার।অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যু,বাক-স্বাধীনতা হরণ, রাজনীতিক প্রেক্ষাপট সবকিছু নিয়ে পত্রিকার শিরোনাম হয়েছে আয়োজক দেশ কাতার।ইউরোপে ধীরে ধীরে জোড়ালো হচ্ছে ‘কাতার বিশ্বকাপ বয়কটের’ ডাক।বাড়ছে রাজনৈতিক চাপও।সেই সমালোচনার পালে নতুন করে হাওয়া দিয়েছে জার্মানের বুন্দেসলিগা সমর্থকরা।
গতকাল বুন্দেসলিগার ম্যাচে মাঠে নামে দুই জার্মান জায়ান্ট বার্য়ান মিউনিখ এবং বরুসিয়া ডর্টমুন্ড।বার্লিনের অলিম্পিয়াস্ট্যাডিয়নে বার্য়ানের মুখোমুখি হয় হার্থা আর এদুনা পার্কে ডর্টমুন্ডের প্রতিপক্ষ বিচুম।ম্যাচ চলাকালীন কাতার বিশ্বকাপ বয়কট সংবলিত ব্যানার ফেস্টুনে ডেকে যায় দর্শক গ্যালারি।এই সময় হার্থার ভক্তরা একটি ব্যানার উন্মোচন করেন।যেখানে লিখা ছিলো “৫৭৬০ মিনিট ফুটবলের জন্য ১৫,০০০ মৃত্যু,লজ্জিত হও কাতার”
ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্যা গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে গত ৪ বছরে ৬৫০০ প্রবাসী শ্রমিকদের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেছে।সেই পরিসংখ্যান অবশ্য কাতারের কর্মকর্তারা ধারাবাহিকভাবে অস্বীকার করে এসেছেন।উপসাগরীয় আরব দেশটিকে বিশ্ব ফুটবলের বৃহত্তম টুর্ণামেন্ট আয়োজনের পেছনে কতজন অভিবাসী শ্রমিক মারা গেছে তা স্পষ্ট নয়।
বুন্দেসলিগা সমর্থকদের ঘটনার প্রেক্ষিতে ফিফার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো এবং ফিফা মহাসচিব ফাতিমা সামোরা অংশগ্রহণকারী দেশগুলির কাছে একটি খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন।যেখানে অংশগ্রহনকারী দেশগুলিকে রাজনীতিক প্রতিহিংসা থেকে বেরিয়ে ফুটবলে মনোনিবেশ করার অনুরোধ করা হয়েছে।