The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

৫৩ বছরে পদার্পণ করলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

জাবি প্রতিনিধিঃ প্রতিষ্ঠার ৫২ বছর পেরিয়ে ৫৩ বছরে পদার্পণ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। বর্ণাঢ্য এক শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩ বছর পূর্তি অনুষ্ঠিত হয়।

শোভাযাত্রাটি আজ শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে পরিবহন চত্বর, মুরাদ চত্বর, অমর একুশে প্রদক্ষিণ করে মুক্ত মঞ্চে এসে শেষ হয়। ২০০১ সাল থেকে প্রতিবছর ১২ জানুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করা হয়।

এর আগে সকাল দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তলনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম। এসময় শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সকলকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভেচ্ছা জানানো হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. আবু হাসান।

আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন, ১৯৭০-১৯৭১ শিক্ষাবর্ষে ৪ জানুয়ারি অর্থনীতি, ভূগোল, গণিত ও পরিসংখ্যান-এই চারটি বিভাগে ভর্তিকৃত (প্রথম ব্যাচে) ১৫০জন ছাত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ২০০১ সালে প্রথম পালিত হয়। এজন্য তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল বায়েসকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারীরা অপেক্ষা করে থাকেন প্রতি বছর ১২ জনুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের জন্য। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়টি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। আরো নতুন ছয়টি হল উদ্বোধন হওয়ায় আমরা খুব শীঘ্রই এই বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করব। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরবো। সেই সাথে বলতে চাই টাইমস হায়ার এডুকেশনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিং এ স্থান করে নিয়েছে যা খুবই গৌরবের বিষয়। ভবিষ্যতে আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষকদের সহায়তা কামনা করছি।

উল্লেখ্য, আনন্দ শোভাযাত্রায় আরও অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য(প্রশাসন) অধ্যাপক ড. শেখ মুহাম্মদ মনজুরুল হক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আকতার ও সকল বিভাগ ও হলের ডিন, চেয়ারম্যান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.