ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতের ভুপালে ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি ও একটি স্টেট জুডিশিয়াল একাডেমিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় প্রশিক্ষণে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণের অনুমতি বাতিল করা হয়েছে।
রবিবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এমন তথ্য মিলেছে।
এতে বলা হয়, সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ভুপালের জুডিশিয়াল একাডেমি ও একটি স্টেট জুডিশিয়াল একাডেমিতে ১০ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রশিক্ষণে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণের বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে, গেল ৩০ ডিসেম্বরে ভারতেরএকাডেমিতে প্রশিক্ষণের জন্য ৫০ কর্মকর্তাকে অনুমতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শের প্রেক্ষিতে এ অনুমতি দিয়েছিল আইন মন্ত্রণালয়। এতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ বিচারকের ভারতে প্রশিক্ষণের পূর্বের দেওয়া অনুমতি আজ রবিবার বাতিল করলো আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
আগের প্রজ্ঞাপনে প্রশিক্ষণের জন্য সহকারী জজ, সিনিয়র সহকারী জজ, যুগ্ম জেলা ও জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়। যাদের আগামী ১০ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার কথা ছিল।
তখন আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের প্রথম বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শের প্রেক্ষিতে আগামী ১০ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি ভূপাল এবং একটি স্টেট জুডিসিয়াল একাডেমিতে অনুষ্ঠিতব্য প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের ৫০ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাককে অনুমতি দেওয়া হলো। বলা হয়, প্রশিক্ষণের যাবতীয় ব্যয় ভারত সরকার বহন করবে। এতে বাংলাদেশ সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লেষ নেই।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৭ সালের এপ্রিলে তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে এ বিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক সই করেন। তখন বলা হয়েছিল বাংলাদেশের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও সামর্থ্য বাড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট এবং ভারতের ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমিতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।