৪০তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৫ জন সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৫০ জনেরও বেশি প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছে।
বুয়েটের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রশাসন ক্যাডার ছাড়ারও পররাষ্ট্র ক্যাডারে ৯ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৩, কাস্টমসে ১১, ট্যাক্স ক্যাডারে ৭, অডিটে ৮, আরএইচডিতে ৭, তথ্যে ৭ জন সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। এছাড়া আরো অন্যান্য ক্যাটাগরিতে বেশ কয়েকজন সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।
৪০তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন বুয়েটের মোহাইমিনুল। নিজের অনুভুতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি যেভাবে লক্ষ্য ঠিক করেছিলাম সেভাবেই কাজ হয়েছে। প্রথম হওয়ার আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমি এমন একটি চাকরি করতে চেয়েছি যার মাধ্যমে দেশের সেবা করা যায়। সেটি এখন সম্ভব হবে।
বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিসিএসে যাওয়া প্রসঙ্গে বুয়েটের উপ-উপাচার্য আব্দুল জব্বার খাঁন বলেন, নিজের শিক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ক্যাডার পদের সংখ্যা খুবই কম। বেসরকারি চাকরিতে রয়েছে অনিশ্চয়তা। আর বিদেশে চলে গেলে দেশের লাভের চেয়ে নিজের লাভই বেশি। এক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়াররা সাধারণত ক্যাডার সার্ভিসের দিকে ঝুকছেন।
বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, পলিসি মেকিংয়ের ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল জ্ঞান থাকা দরকার। দেশকে ডিজিটাইলজড করতে হলে মেধার পাশাপাশি টেকনিক্যাল জ্ঞান থাকা দরকার। এক্ষেত্রে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা জোরালো ভূমিকা রাখতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, এটি তথ্য প্রযুক্তির যুগ। আদালত, পুলিশ থেকে শুরু করে সবক্ষেত্রে আইটি ডিপার্টমেন্টের লোকজন দরকার হয়। ই-গভর্নেন্স চালু করতে গেলেও আইটি সেক্টেরের লোকজন দরকার হয়। বুয়েটের শিক্ষার্থীরা বিসিএসে যাওয়ায় মেধার পাশাপাশি কারিগরি দক্ষতা সম্পন্ন লোকজন পেল সরকার।