দেশে করোনাভাইরাইসের সংক্রমণ বাড়লে আবারও লকডাউন দেয়া হবে। আর লকডাউন হলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুপারিশপ্রাপ্ত ৩৮ হাজারের বেশি শিক্ষকের পুলিশ ভেরিফিকেশন কার্যক্রম পেছাবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে সুপারিশপ্রাপ্তদের ভেরিফিকেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দেশের প্রায় সব জেলায় ভেরিফিকেশন কার্যক্রম চলমান রয়েছে । দ্রুত সময়ের মধ্যে ভেরিফিকেশন শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা শাখাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে গেলে ভেরিফিকেশন কার্যক্রম পিছিয়ে পড়বে। কেননা লকডাউন দেয়া হলে সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকবেন। এই অবস্থায় ভেরিফিকেশন কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুরক্ষা সেবা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, সরকার যদি আবার লকডাউন ঘোষণা করে তাহলে তো ভেরিফিকেশন কার্যক্রম চলমান রাখা সম্ভব হবে না। কেননা আগে জীবন, পড়ে জীবিকা।
এদিকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কর্মকর্তারা বলছেন, লকডাউন হলে পুলিশ ভেরিফিকেশন কার্যক্রমে ধীরগতি আসবে। তবে সে ধরনের পরিস্থিতি যেন তৈরি না হয় সেটিই প্রত্যাশা থাকবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনটিআরসি সদস্য (পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন) এ বি এম শওকত ইকবাল শাহীন বলেন, শিক্ষকদের পুলিশ ভেরিফিকেশন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভেরিফিকেশন শেষ করার জন্য আমরা সময় সুরক্ষা সেবা বিভাগের সাথে যোগাযোগ রাখছি। তারাও এ বিষয়ে আন্তরিক।
লকডাউন হলে ভেরিফিকেশন চলমান থাকবে নাকি বন্ধ হয়ে যাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেভা বিভাগ বলতে পারবে। বিষয়টি তাদের হাতে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, লকডাউন দেওয়া হবে কি না, পাশের দেশে (ভারতে) তো দিয়েছে। আমরা সেই চিন্তা এখনো করছি না। যদি অবস্থা আওতার বাইরে যায়, সংক্রমণ অনেক বৃদ্ধি পায়, তাহলে লকডাউনের চিন্তা মাথায় আছে। পাশাপাশি স্থল, নৌ ও সমুদ্রবন্দরে স্ক্রিনিং জোরদার করা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইনের ক্ষেত্রে পুলিশ পাহারা বসানো হবে। এবিষয়ে দৃষ্টি দিতে বলা হয়েছে।