The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বুধবার, ১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪

৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে স্কুলে ভর্তি শেষ করার নির্দেশ

ডেস্ক রিপোর্ট: ১ম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির সব কার্যক্রম ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল ও স্কুল অ্যান্ড কলেজগুলোর প্রধানদের পাঠানো হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) অধিদফতরের এক চিঠিতে বলা হয়, ডিজিটাল লটারির নির্বাচিতদের তালিকা অনুযায়ী ৬ কর্মদিবসের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে হবে।

জানা গেছে, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি (মহানগরী ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এন্ট্রি প্রথম শ্রেণি থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত শূন্য আসনের বিপরীতে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠান পরবর্তী শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত তালিকা এবং ১ম অপেক্ষমাণ ও ২য় অপেক্ষমাণ তালিকা এরইমধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। ফলাফল শিটে নির্বাচিতদের তালিকা অনুযায়ী ৬ কর্মদিবসের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। নির্বাচিত তালিকা থেকে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করার পর আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে ১ম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ক্রমানুসারে ৩ কর্মদিবসের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।

১ম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করার পর আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে ২য় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ক্রমানুসারে ২ কর্মদিবসের মধ্যে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। তবে আবশ্যিকভাবে ভর্তির সব কার্যক্রম ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।

আরও জানা গেছে, ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি গ্রহণের সময় উল্লিখিত বিষয়গুলো অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। সেগুলো হলো: ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারির আওতাভুক্ত সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা https://gsa.teletalk.com.bd লিংকে প্রবেশ করে প্রতিষ্ঠানের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে ডাউনলোড অপশনটি ক্লিক করার পর তার প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারীদের তালিকা পেয়ে যাবেন। ডিজিটাল লটারিতে তার প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্বাচিত, ১ম অপেক্ষমাণ ও ২য় অপেক্ষমাণ তালিকার শিক্ষার্থীদের আবেদন সংক্রান্ত তথ্য এই লিংক থেকে যাচাই করতে পারবেন। লিংকে তথ্য টাইপ করে সাবমিট করলে আবেদনকারী কতবার আবেদন করেছে তা জানা যাবে।

এক্ষেত্রে কোনো আবেদনকারী তথ্য পরিবর্তন করে একাধিকবার আবেদন করে থাকলে ডিজিটাল লটারিতে তার ভর্তির নির্বাচন বাতিল বলে গণ্য হবে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইটে এবং নোটিশ বোর্ডে শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত তালিকা এবং ১ম ও ২য় অপেক্ষমাণ তালিকা প্রদর্শন করবেন। ভর্তিকালীন নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করতে হবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র যাচাইকালীন শিক্ষার্থীর জন্ম সনদের মূল কপি, জন্ম সনদের অনলাইন কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাই করতে হবে), বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি ভালো করে দেখতে হবে। মিথ্যা তথ্য দেয়ার মাধ্যমে কোনো শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়ে থাকলে (যাচাই সাপেক্ষে) তাকে ভর্তি করা যাবে না।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সবশেষ জারি করা ভর্তি নীতিমালায় যে সব কোটা সংরক্ষিত রয়েছে ভর্তির সময় এই কোটাগুলো নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কোটা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যথাযথভাবে যাচাই করতে হবে। নির্বাচিত তালিকার মধ্য থেকে কোটার শূন্য আসন পূরণ না হলে পর্যায়ক্রমে ১ম ও ২য় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ক্রমানুসারে কোটার শূন্য আসন পূরণ করতে হবে। এরপরও যদি কোটার শূন্য আসন পূরণ না হয় সেক্ষেত্রে সাধারণ নির্বাচিতদের মধ্য থেকে তালিকার ক্রমানুসারে এই শূন্য আসন পূরণ করতে হবে। কোনোভাবেই আসন শূন্য রাখা যাবে না।

২০২৫ শিক্ষাবর্ষে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো কারণে আসন শূন্য হলে বছরের কোনো সময়েই ডিজিটাল লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীর তালিকার বাইরে কোনো শিক্ষার্থীকে এই শূন্য আসনে ভর্তি করানো যাবে না। ডিজিটাল লটারির আওতাভুক্ত কোনো প্রতিষ্ঠানে শূন্য আসনের বিপরীতে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থী পাওয়া না গেলে মাউশি অধিদফতরের এ সংক্রান্ত ১১ নভেম্বরের জারি করা চিঠির আলোকে এই শূন্য আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারবেন।

সর্বোপরি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সর্বশেষ জারি করা ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। উল্লিখিত নির্দেশনা অনুসরণ না করে বিধিবহির্ভূতভাবে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলে এবং পরবর্তীতে তা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান দায়ী থাকবেন।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.