৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা বিতরণের সময় পরীক্ষকদের ভুলের বিষয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়াসহ খাতা দেখতে গিয়ে অবহেলা যেন না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে পরীক্ষকদের। ৪১তম বিসিএসের খাতা দেখতে ৩১৮ জন পরীক্ষকের দায়িত্বে অবহেলার কারণে এমন কঠোর অবস্থানে পিএসসি।
জানা গেছে, ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার পরই পরীক্ষকদের ডাকা শুরু হয়। পিএসসি মিলনায়তনে সেমিনার করে দিনে ১০০ জনকে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে আগের ভুলগুলো দেখানো হয়। এর পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সে জন্য সতর্ক করা হয়েছে। ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় ১৫ হাজার ২২৯ জন প্রার্থী অংশ নেন।
সেমিনার পরিচালনার দায়িত্বে থাকা পিএসসির একজন সদস্য বলেন, ৪৩তম বিসিএসের খাতা প্রায় ৮০ হাজার। এসব দেখতে ৩০৯ জন পরীক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেমিনারের জন্য পিএসসির বাড়তি সময় ও অর্থ যাচ্ছে। তবে একই ভুল বারবার দেখতে চান না বলে জানান তিনি।
আগের তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, অনেকে কোনো কোনো প্রশ্নের উত্তরের জন্য নম্বরই দেননি। খাতার শেষে থাকা প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেছেন অনেকে। কিছু খাতায় নম্বরের যোগফলে ভুল করেছেন। অনেকের দেওয়া নম্বরপুনর্মূল্যায়নের জন্য তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠাতে হয়েছে।ভুলগুলো দেখিয়ে পরীক্ষকদের সতর্ক করা হয়েছে।
আবার কোনও পরীক্ষক একই ভুল বা দায়িত্বে অবহেলা করলে তাকে আর খাতা দেওয়া হবে না। ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করা হবে। সতর্কতামূলক ওই সেমিনার এক সপ্তাহ ধরে চলেছে। এখন থেকে কেউ বেশি সময় নিলে পিএসসির কোনো পরীক্ষার খাতা পাবেন না তিনি।
কয়েকজন পরীক্ষক জানান, সেমিনারে অংশ না নিলে খাতা দেখতে দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছিল। সেখানে আগের ভুলগুলো দেখানো হয়েছে। একই ভুল আর না করেন, সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।