কুবি প্রতিনিধি: বর্তমানে তরুণের অন্যতম শখে পরিণত হয়েছে সাইকেলিং। দলবেধেঁ ঘুরতে, বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণে এমন সাইকেলিং এর দিকে ঝুঁকছে অনেকে। এতে যেমন সুস্থ দেহের সুস্থ মন গড়ে উঠছে তেমনি তৈরি হচ্ছে নানা সামাজিক সচেতনতা।
তেমনি এক ব্যতিক্রমী সাইকেলিং করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন।
ইদের তীব্র যানজট থেকে মুক্তি পেতে ২৯১ কিলোমিটা সাইকেল চালিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাম বাড়ি যশোরের কেশবপুরে ফিরলেন আল মামুন।
আলদুল্লাহ আল মামুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯ ঘন্টা ১৪ মিনিট সাইকেল চালিয়ে যশোরের কেশবপুরে নিজ বাড়িতে পৌছেঁছেন তিনি। তিনি জানান, ছোট বেলা থেকে কলেজ পর্যন্ত সাইকেল চালিয়ে স্কুল কলেজে যেত সে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকায় সেভাবে সাইকেলিং করা হয়ে উঠে না। এবার ক্যাম্পাস থেকে বাড়ি ফেরার পরিকল্পনা থেকেই সাইকেলিং করা। ১৯ ঘন্টা রাইড করে তিনি পাড়ি দিয়েছেন ২৯১ কিলোমিটার।
আল মামুন গত শনিবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা পৌনে ৮টায় সাইকেল রাইড শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হলের ফটক থেকে। মধ্যে কয়েকটি স্থানে স্বল্প যাত্রাবিরতি নিয়েছেন। ঘণ্টায় প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়েছেন তিনি। ১০-২০ কিলোমিটার পরপর ৫-১০ মিনিটের ছোট্ট যাত্রাবিরতি নিয়ে আবারো রাইড শুরু করেন। প্রায় ৩১ ঘণ্টা পর সোমবার (১৭ এপ্রিল) রাত ৩টায় কেশবপুরের নিজ বাড়িতে পৌঁছান তিনি। এরমধ্যে তিনি ১৯ ঘন্টা ১৪ মিনিট সাইকেল রাইড এবং অন্য সময় তিনি বিভিন্ন স্থানে যাত্রাবিরতির পাশাপাশি বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাথে মতবিনিময় করেন।
সাইকেলিং করার শখের পাশাপাশি ইদের ছুটিতে তীব্র যানজট লেগে থাকে সড়ক জুড়ে। যানজটের এমন দুর্ভোগ থেকে বাচঁতেও সাইকেল করে বাড়ি ফেরার পরিকল্পনা করেন আল মামুন। একাই সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। মাঝেমাঝে বিভিন্ন স্থানে বন্ধুদের সাথে দেখা করেছেন যাত্রা বিরতিতে।
এমন পরিকল্পনার বিষয়ে আল মামুন বলেন, সাইকেল রাইড করায় আমার পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল। এবারও রাইড করার অভিজ্ঞতা খুবই ভালো। পরিচিত অপরিচিত অনেক মানুষের ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়েছি। তবে তাপমাত্রা বেশি থাকায় সুস্থ থাকাটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবুও মনের জোরে আমি সফল হতে পেরেছি। ভবিষ্যতে সুস্থ থাকলে, কখনো সময় পেলে ক্রস কান্ট্রি রাইড দিতে চাই।
তিনি আরও বলেন, সাইকেলিং একজন মানুষকে শারীরিক ও মানসিকভাবে বেশ সুস্থ রাখে। নিয়মিত সাইকেল চালাতে পারলে যেকারো সুস্থ দেহ সুস্থ মন থাকবে।