২০ রমজান পর্যন্ত দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পড়াশোনার যে ক্ষতি হয়েছে, সেটা পুষিয়ে নিতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আজ শনিবার দুপুরে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার খনজনমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রাথমকি ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।
তিনি প্রাথমিকের সকল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তোমরা এ দেশের ভবিষ্যৎ। তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে দেশ। তোমরা সুশিক্ষা অর্জন করে কেউ সচিব, কেউ চিকিৎসক, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ রাজনীতিবিদ, আবার কেউ হবে দেশের প্রধানমন্ত্রী। তাই লেখাপড়া ভালো করে করতে হবে। লেখাপড়ার বিকল্প কিছু নেই।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এলাকার উন্নয়নে রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ-কালভার্টের উন্নয়নসহ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বছরের শুরুতে নতুন বই ও উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।
শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে খনজনমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শহীদুল ইসলাম মন্ডলের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগের প্রাথমিকের উপ-পরিচালক মোজাহিদুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্লাহ, উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার স্মৃতি ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
এর আগে খনজনমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের ফিতা কেটে শুভ উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।