প্রতিবছর কমপক্ষে ২০ জন ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। এ বৃত্তিতে আবাসিক সুবিধাসহ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এবং মাস্টার্সে ভর্তির সুযোগ পাবেন ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় উপাচার্য ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতকে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়ার কথা জানান।
এ সময় উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রতিবছর কমপক্ষে ২০ জন ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি ও আবাসিক সুবিধাসহ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও মাস্টার্সে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাক্ষাৎকালে তাঁরা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে, বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী ভর্তি, বৃত্তি ও আবাসিক সুবিধা প্রদানের বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন। এ সময় ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নে আগ্রহী ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী, বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও বৃত্তি প্রদানের জন্য উপাচার্যকে অনুরোধ করেন।
এ এস এম মাকসুদ কামাল ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর কমপক্ষে ২০ জন ফিলিস্তিনি মেধাবী শিক্ষার্থী, বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি, আবাসিক সুবিধাসহ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও মাস্টার্সে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে। ঢাবিতে অধ্যয়নকালে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে বলে তিনি রাষ্ট্রদূতকে জানান।
উপাচার্য ফিলিস্তিন বিশেষ করে গাজার অধিবাসীদের ওপর ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর বর্বর ও নির্মম হামলা, গণহত্যা ও অমানবিক অত্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জনগণ ফিলিস্তিনি বন্ধুদের প্রতি সব সময় সহানুভূতিশীল বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ সময় আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. জিল্লুর রহমান, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিসের পরিচালক অধ্যাপক সামসাদ মুর্তুজা এবং জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মাহমুদ আলম উপস্থিত ছিলেন।