ডেস্ক রিপোর্ট: বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নবম-দশম শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজন (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা ইত্যাদি শাখায়) তুলে নেওয়া হয়েছিল। তবে ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা আবারও হবে বিভাগ বিভাজনভিত্তিক।
এ লক্ষ্যে ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার পুনর্বিন্যাসকৃত সংক্ষিপ্ত সিলেবাস, প্রশ্নের ধরন ও নম্বর বণ্টন প্রকাশ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বোর্ডের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এনসিটিবির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ব্যবহারিক না থাকা বিষয়গুলোতে ৭০ নম্বর রচনামূলক ও ৩০ নম্বর বহুনির্বাচনি অংশ থেকে প্রশ্ন থাকবে। রচনামূলক প্রশ্নের মধ্যে সৃজনশীল অংশের জন্য ৫০ ও সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্নের জন্য ২০ নম্বর বরাদ্দ থাকবে।
আর ব্যবহারিকসহ বিষয়গুলোতে তত্ত্বীয় অংশে ৭৫ ও ব্যবহারিক অংশে ২৫ নম্বর থাকবে। তত্ত্বীয় অংশে সৃজনশীল প্রশ্নের জন্য ৪০ নম্বর, সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্নের জন্য ১০ নম্বর ও বহুনির্বাচনি অংশে ২৫ নম্বর থাকবে। প্রতিটি সৃজনশীল প্রশ্নের নম্বর ১০, প্রতিটি সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্নের নম্বর ২ ও প্রতিটি বহুনির্বাচনি ১ নম্বর করে থাকবে।
এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রণীত ‘নতুন শিক্ষাক্রম বা জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১’ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় তখন এক পরিপত্রে বলেছিল, বিদ্যমান শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয়। তাই ২০২৫ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করে ২০২৬ সাল থেকে তা পরিপূর্ণরূপে কার্যকর করা হবে। তার আগে ২০২৫ সালে শিক্ষার্থীদের জন্য অনেকটা আগের শিক্ষাক্রমের ধাঁচের পাঠ্যবই বিতরণ করা হবে।
বিভাগ-বিভাজন ফিরিয়ে এনে ২০১২ সালের পাঠ্যসূচির বইগুলোই ২০২৫ সালে বিতরণের জন্য পরিমার্জন করে ছাপানোর কাজ চলছে। আগামী বছরের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী যারা ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বসবেন, তারা এসব বই পাবেন।