২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে প্রকৌশল গুচ্ছের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন পর্যন্ত সর্বমোট ৭০টি আসন ফাঁকা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দ্বিতীয় মেধাতালিকা শেষে আসনগুলো ফাঁকা রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি। এ সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সর্বশেষ গত বুধবার (১৯ অক্টোবর) প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১টি, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯টি এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০টি আসন ফাঁকা রয়েছে।
প্রকৌশল গুচ্ছের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি সূত্র বলছে, প্রথম মেধাতালিকা শেষেও তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বড় সংখ্যায় আসন ফাঁকা ছিলো। এরপর দ্বিতীয় মেধাতালিকা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় মেধাতালিকা শেষে সেরকম আসন ফাঁকা না থাকলেও ধীরে ধীরে অনেকে ভর্তি বাতিল করায় আসনগুলো ফাঁকা হয়েছে।
তিনটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে মূলত আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং (ইউআরপি) ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে এক ভাগ আর অন্যভাগে আরকিটেকচার বিভাগের ভর্তি কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ইউআরপি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগেই ৭০টি আসন ফাঁকা রয়েছে। এগুলোতে পর্যায়ক্রমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। আর অন্যদিকে আরকিটেকচার বিভাগে কোন আসন খালি নেই।
জানা যায়, তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবান এন্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং বিভাগে সবয়েচে বেশি আসন ফাঁকা রয়েছে। এরমধ্যে চুয়েটের আরবান এন্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং বিভাগেই ১১টি আসন ফাঁকা রয়েছে। চুয়েটেও বিভাগটিতে ১৬টি এবং লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৩টি আসন ফাঁকা রয়েছে। এ ছাড়া রুয়েটের ফাঁকা ৪০টির সবগুলোই আরবান এন্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং বিভাগে।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও প্রকৌশল গুচ্ছ কমিটির সদস্য-সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ শুক্রবারে বলেন, তিনটি প্রকৌশল গুচ্ছের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে রয়েছে; তবে এখনো শেষ হয়নি। যে আসনগুলো খালি রয়েছে, এ সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। আগামী ২৭ অক্টোবর ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি আবেদন শেষ হলে প্রকৌশল গুচ্ছের খালি আসনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।