প্রযুক্তির এ যুগে শিশু, কিশোর ও বয়স্করা টিভি, মোবাইল ও কম্পিউটারসহ বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করেন। অনেক বাবা-মা শিশুদের মোবাইল ফোন হাতে দিয়ে কান্না থামান। ফলে শিশুরা ডিভাইসের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। অতিরিক্ত সময় স্ক্রিনে থাকলে দীর্ঘমেয়াদি চোখের সমস্যা তৈরি হতে পারে। এ ছাড়া একটানা মোবাইল ব্যবহার করলে, বিভিন্ন ধরনের শারীরিক এবং মানসিক অসুস্থতাও দেখা দিতে পারে।
শিশুর স্ক্রিন টাইম
একটি শিশু যতক্ষণ ডিভাইসে সময় ব্যয় করে, সেটিই তার স্ক্রিন টাইম। টিভি, ট্যাব ও মোবাইল যেকোনো কিছুই হতে পারে। লার্নিং এর জন্য একটা নির্দিষ্ট বয়সে কিছুক্ষণ শিক্ষামূলক প্রোগ্রাম বা মজার কার্টুন, ছড়া-গান এসব শিশুরা দেখতেই পারে। তবে স্ক্রিন টাইমের ক্ষেত্রে শিশু কি দেখছে, কতক্ষণ দেখছে বা সেটা তার বয়সের উপযোগী কিনা, এসব বিষয় মাথায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কোন বয়সে কতক্ষণ স্ক্রিন ব্যবহার করতে পারবে?
The American Academy of Pediatrics-এর মতে, ১৮ মাসের কম বয়সী শিশুদের স্ক্রিন ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া একেবারেই উচিত নয়। শুধু আত্মীয়দের সাথে ভিডিও কলে কিছুক্ষণ সময় দেওয়া যাবে, তাও সেটি বেশি সময় ধরে নয়।
যাদের বয়স ১৮-২৪ মাস, তারা শুধু বাবা-মায়ের সাথে কিছু সময় স্ক্রিন টাইম শেয়ার করবে এবং সেটি হতে হবে তার বয়সের জন্য উপযোগী কনটেন্ট।
২-৫ বছর বয়সী শিশুদের এক ঘণ্টা স্ক্রিন টাইম রাখা যেতে পারে এবং সেটা এডুকেশনাল প্রোগ্রাম হতে হবে।
ছয় কিংবা তার বেশি বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে বাবা-মা টাইম নির্ধারিত করে দিবেন এবং তার উপর নজর রাখতে হবে যে, সন্তান তার বাইরে অন্য কোনো ক্ষতিকর কনটেন্ট দেখছে কিনা।