আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন দেশসেরা ওপেনার এবং জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান। ২০০৭ সালে অভিষেকের পর থেকেই চট্টগ্রামের এই হিরো জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে অশ্রুসজল চোখে তামিম বলেছেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে গতকালের ম্যাচটিই আমার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। এ মুহূর্ত থেকে আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাচ্ছি।
লাল-সবুজের জার্সিটা যখন তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন, তখন তামিম ইকবাল বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক। ৩৮৯ ইনিংসে ৩৯ এর বেশি গড়ে করেছেন ১৫ হাজার ২০৫ রান। দীর্ঘ এই সময়ে ২৫টি শতক আর ৯৪টি অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন তামিম। লাল সবুজের জার্সিতে তামিমের শুরুটা হয়েছিলো ২০০৭ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। প্রথম ওয়ানডেতে ৫ রান করেই সাজঘরে ফিরেছিলেন তিনি। এরপর এই ওপেনার টানা ১৬ বছর দেশের হয়ে ক্রিকেটকে সেবা দিয়ে গেছেন।
দেশের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটের সবচেয়ে বেশি রানের মালিক হিসেবেই অবসরে যাচ্ছেন তামিম। ২৪১ ম্যাচের ওডিআই ক্যারিয়ারে তার ব্যাটে ফুটেছে ৮ হাজার ৩১৩ রান। ৩৬-এর অধিক গড় আর ৭৯-এর কাছাকাছি স্ট্রাইকরেট নিয়ে ক্রিকেটকে বিদায় বলছেন তিনি।
যদিও শেষদিকে ওয়ানডেতে তার স্ট্রাইকরেট নিয়ে কিছু আলোচনা তৈরি হয়েছিল। সেই আলোচনা থেকে ধীরে ধীরে সমালোচনা দেখা দেয় তামিমের সাম্প্রতিক অফ-ফর্মের কারণে। তবে রঙিন পোশাকটি তুলে রাখার আগে ওডিআই ফরম্যাটে তার অর্জন ১৪টি সেঞ্চুরি এবং ৫৬টি অর্ধশতক।
এর আগে দেশসেরা এই ওপেনার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও অনেকটা নিরবে বিদায় জানিয়েছিলেন। ২০২১ সালে যখন ক্রিকেটের শর্টার ফরম্যাট থেকে তামিম সরে দাঁড়িয়েছিলেন, তখনও ওই ফরম্যাটে দেশের সর্বোচ্চ স্কোরের মালিক ছিলেন তিনি। ৭৮ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ১ হাজার ৭০১ রানে থেমেছিলেন তামিম। এমনকি ফরম্যাটটিতে দেশের হয়ে একমাত্র সেঞ্চুরিটাও তারই করা। এছাড়া তামিম ২০ ওভারের ম্যাচে ৭ বার অর্ধশতকের দেখাও পেয়েছেন।
টেস্ট ক্রিকেটেও তামিম ৭০ ম্যাচে ১৩৪ ইনিংসে করেছেন ৫ হাজার ১৩৪ রান। ক্রিকেটের আদি এই ফরম্যাটে তামিমের সেঞ্চুরি আছে ১০টি। যেখানে তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে কেবল মুমিনুল হকের। এছাড়া পঞ্চাশ পেরুনো ইনিংস আছে ৩১টি।