বৃহস্পতিবার (৪ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে মানববন্ধন করেছে প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদ। মানবন্ধন থেকে তারা অবিলম্বে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।
মানববন্ধনে সমন্বয় পরিষদের নেতারা বলেন, ৮ম শ্রেণি পাস একজন ড্রাইভারের গ্রেড ১২তম আর মাস্টার্স পাস একজন প্রাথমিক শিক্ষকের গ্রেড ১৩তম, শিক্ষক হিসেবে এর চেয়ে লজ্জার আর কী থাকতে পারে। এই বৈষম্য দূর করার দাবি জানিয়েছেন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা।
মানববন্ধনে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, শিক্ষকরা সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে চান, তাই ১০ম গ্রেডের বিকল্প নেই। অষ্টম শ্রেণি পাস ড্রাইভারের বেতন গ্রেড ১২তম গ্রেডে অথচ স্নাতক পাস শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১৩তম। এর চেয়ে লজ্জার আর কী থাকতে পারে?
প্রবীণ এ শিক্ষক নেতা বলেন, আজকে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন ঐক্য। শিক্ষক নেতারা কখনো ঐক্যবদ্ধ হতে পারবেন না, কারণ তারা দালালিতে ব্যস্ত। এই ১০ম গ্রেড আন্দোলন আমরা শুরু করেছিলাম এরশাদ সরকারের আমলে।
তিনি আরো বলেন, ডাটা অ্যান্ট্রি অপারেটররা শিক্ষকদের শিক্ষক হবেন এটা মানা যায় না। মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকদের মর্যাদা দিতে সরকারের কার্পণ্য দেখে আমরা হতাশ। এ সময় তিনি প্রাথমিক শিক্ষকদের ১০ গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য সরকার প্রধানের সহযোগিতা চান তিনি।