The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

হিরো আলমকে নিয়ে নাট্যজন মামুনুর রশীদের বিস্ফোরক মন্তব্য

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত-সমালোচিত হিরো আলমকে নিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করে আলোচনায় এলেন নাট্যজন মামুনুর রশীদ।

সম্প্রতি অ্যাক্টরস ইকুইটির একটি অনুষ্ঠানে মামুনুর রশীদ বলেছিলেন, ‘আমরা একটা রুচির দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়ে গেছি। সেখান থেকে হিরো আলমের মতো একটা লোকের উত্থান হয়েছে। যে উত্থান কুরুচি, কুশিক্ষা ও অপসংস্কৃতির উত্থান। এই উত্থান কীভাবে রোধ করা যাবে, এটা যেমন রাজনৈতিক সমস্যা, তেমনি আমাদের সাংস্কৃতিক সমস্যাও।’

রবিবার একটি জাতীয় দৈনিককে তিনি জানান, হিরো আলম সম্পর্কে আগে তিনি খুব একটা জানতেন না। তবে নাট্যাঙ্গনের কয়েকজন তাঁকে হিরো আলমের কর্মকাণ্ড সম্পর্ক জানিয়েছেন। এরপর থেকেই হিরো আলমকে নিয়ে বিরক্ত তিনি।

তিনি বললেন, খোঁজ নিয়ে দেখলাম, হিরো আলম যখন ইলেকশন করছে, তাকে কেউ একজন একটা গাড়ি দিচ্ছে। সেই গাড়ির আবার নয়-দশ বছরের ফিটনেস নেই। এই হিরো আলম নিয়ে আমি অনেক দিনই বিরক্ত ছিলাম। বিরক্ত ছিলাম এই কারণেও, আমাদের দেশের মানুষের তো রুচির দুর্ভিক্ষ হয়ে গেছে। একটা বান্দর যদি কোথাও নাচতে থাকে আর তার পাশে যদি অভিনয় করি আমি, আমার এখানে দশটা লোক হবে। এটাই যেন এখন স্বাভাবিক। কোনো সৃজনশীল শিল্প তো এসব দিয়ে বিচার করা যাবে না।’

এ ধরনের সংকট থেকে উত্তরণের উপায় কী জানতে চাইলে তিনি ওই বলেন, ‘উত্তরণের উপায় খুব কঠিন। কারণ, আমাদের রাজনীতিও তো রুচিহীন হয়ে গেছে। রাজনীতি যদি সুস্থ হতো, দুর্নীতিপরায়ণ সমাজ যদি না হতো, তাহলে কিছু একটা হতো,’ বললেন মামুনুর রশীদ।

মামুনুর রশীদ আরও বলেন, ‘রাষ্ট্র তো কোনোভাবে রুচির উন্নয়নে কাজ করছে না। তাই এখন আমার আর রাজনীতির কাছে, রাষ্ট্রের কাছে, সংস্কৃতির কাছে, কোথাও আবেদন-নিবেদন নেই। আমার আবেদন, যে মানুষগুলো সামাজিক কাজের প্রতি দায়বদ্ধ, তাঁদের প্রতি। তাঁদের বলতে চাই, আপনারা এগিয়ে আসুন।

কথার কথা, কাল মুরগির দাম ছিল ১০০ টাকা, আজ হয়ে গেছে ১৫০ টাকা। তারপরও কিন্তু মানুষ কিনছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে তো সাধারণ মানুষ বাধা দেয়। অস্ট্রেলিয়াতে একবার দেখেছি, একদিন সকালে হঠাৎ কলার দাম বেড়ে গেল। ওদের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সব রাষ্ট্রব্যবস্থা এ নিয়ে তোলপাড়। শেষমেশ দাম কমাতে বাধ্য হলো। বাইরে থেকে ইম্পোর্ট করা শুরু করল, তখন ব্যবসায়ীরাও বিপদে পড়ে গেলেন। আর আমাদের এখানে রাষ্ট্র কোনো ব্যবস্থা নেয় না, আর মানুষও এত বেশি দাম সত্ত্বেও সবকিছু মেনে নিচ্ছে! মেনে নিচ্ছে বলেই ব্যবসায়ীরা যা খুশি করছেন। বাংলাদেশ একটা ব্যবসায়ীদের রাষ্ট্র হয়ে গেছে, আ স্টেট অব বিজনেসম্যান।’

ক্ষোভ থেকে মামুনুর জানালেন, ‘আজ থেকে ৫০-৬০ বছর আগে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন বলেছিলেন, দেশে একটা রুচির দুর্ভিক্ষ চলছে। আমরা সেই রুচির দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়ে গেছি। আমাদের মিডিয়া মুক্ত হওয়ার ফলে আমরা একটা রুচির দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়ে গেছি। সেখান থেকে হিরো আলমের মতো একটা লোকের উত্থান হয়েছে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.