কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর গ্রারেম কলেজ ছাত্রী দিলরুবা ইউটিউব দেখে নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় শুরু করেন ক্ষুদ্র হাঁস-মুরগির খামার। ক্ষুদ্র খামারি দিলরুবা হাঁস-মুরগি পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
কৃষি কাজ, হাস-মুরগি পালনে ছোট বেলা থেকেই দিলরুবার ঝোক ছিলো। যেটা করোনা মহামারীর সময় কজে লাগান। করোনা মহামারীর সময় দীর্ঘ সময় কলেজ বন্ধ থাকা অবস্থায় প্রথমে মুরগির খামার গড়ে তোলেন দিলরুবা। পরে খামার আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে।
জানা যায়, করোনার মহামারীর সময় একটি মুরগির খামার গড়ে তোলেন। পরে ২০২১ সালে ১ হাজার ব্রয়লার মুরগি ও ২০০ হাঁসের বাচ্চা নিয়ে গড়ে তোলেন আরেকটি হাঁস-মুরগির খামার। পোল্ট্রি খামারের সার্বিক দেখাশুনা যেমন- খাবার দেওয়া, ঔষধপত্র দেয়া সবই নিজ হাতে করেন দিলরুবা।
দিলরুবা জানান বর্তমানে তার খামারের হাঁসগুলো ডিম দিতে শুরু করেছে।
হোসেনপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: আব্দুল মান্নান বলেন, কলেজছাত্রী দিলরুবা লেখাপড়ার পাশাপাশি হাঁস-মুরগির খামার করে একজন আদর্শ খামারি হিসেবে এলাকায় পরিচিত। দিলরুবা এই খামারের মাধ্যমে লাভের পাশাপাশি মাংস ও ডিমের চাহিদা পূরণ করে জাতীয় পর্যায়েও অবদান রেখে চলছেন। যা অন্যদের জন্য অনুকরণীয়।