জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সুপারভাইজার সোহেল রানার নিয়োগ বাতিল চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট আবেদনপত্র জমা দিয়েছে অর্থনীতি বিভাগের ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থী জাহানারা মুক্তা।
জাহানারা মুক্তা নিজেও হল সুপারভাইজার পদের নিয়োগের একজন প্রার্থী ছিলেন। নিয়োগটি অবৈধ উল্লেখ করে গত ০৭ অক্টোবর উপাচার্য বরাবর চিঠি দেন তিনি। এর আগে ২০২৩ সালের ২৬ অক্টোবর ইউজিসি বরাবরও অভিযোগ দিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন জাহানারা মুক্তা।
জাহানারা মুক্তা জানান, সম্পূর্ণ অনিয়ম ও বিধিবহির্ভূতভাবে পদত্যাগী উপাচার্য সৌমিত্র শেখর ব্যক্তিস্বার্থে অসদুপায় অবলম্বন পূর্বক জনৈক সোহেল রানাকে হল সুপারভাইজার পদে নিয়োগের পর আমি জাহানারা মুক্তা সংক্ষুব্ধ হয়ে ২৬/১০/২৩ ইং তারিখে ইউজিসি বরাবরে একটি আপীল/অভিযোগ উত্থাপন করি। ইউজিসি বিষয়টি তদন্তসূত্রে সোহেল রানার নিয়োগটি বিধিবহির্ভূত বলে অভিমত প্রকাশ করেন।”
তৎকালীন উপাচার্য রহস্যজনক কারণে ইউজিসি’র নির্দেশের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেন বলে উল্লেখ করেছেন আবেদনপত্রে।
হল সুপারভাইজার পদে সোহেল রানার আবেদন করার যোগ্যতা ছিলনা উল্লেখ করে জাহানারা মুক্তা বলেন, উক্ত পদের জন্য সোহেল রানার বিপরীতে আমিই একমাত্র যোগ্য প্রার্থী ছিলাম। বিধিবহির্ভূতভাবে নিয়োগকৃত জনাব সোহেল রানার উক্ত পদে আবেদন করারই যোগ্যতা ছিলোনা। তার আবেদনে প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতার অভাবে বাছাইয়ে বাতিলযোগ্য ছিলো।
সোহেল রানার অবৈধ নিয়োগটি বাতিল করে জাহানারা মুক্তা নিজেকে ঐ পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করেছেন।
সোহেল রানার কাছে এই বিষয়ে জানতে ফোন দিয়ে যোগাযোগ করলে সাংবাদিক পরিচয় জানার পর কোনো কথা না বলেই ফোন কেটে দেন। পরে বারবার ফোন দিলেও তিনি আর ফোন ধরেননি।
অভিযোগের ভিত্তিতে নিয়োগের তদন্তের বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এরকম অনেক অভিযোগ পেয়েছি। আমরা একটা কমিটি গঠন করে দিচ্ছি। সকল ধরনের অভিযোগ ও নিয়োগের তদন্তের কাজ এই কমিটির মাধ্যমে করা হবে।