The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

হল প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবিতে সড়ক অবরোধ

বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) আবাসিক ঈশা খাঁ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ফকির আজমল হুদার পদত্যাগের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন ওই হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রবিবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঈশা খাঁ হলের প্রধান ফটকের সামনের সড়ক অবরোধের ঘটনাটি ঘটে।

এ সময় টায়ারে আগুন ও হল প্রভোস্টের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। শিক্ষার্থীরা হল প্রভোস্টের বিনা শর্তে পদত্যাগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, হল প্রভোস্টকে নিয়মিত হলে পাওয়া যায় না। এছাড়া শিক্ষার্থীদের কোনো স্বাক্ষরের জন্য বিভাগীয় চেম্বারেও তাকে পাওয়া যায় না। হলে কৃত্রিম সিট সংকট, হল নির্মান ও সংস্কার কাজে অসংগতি ও ধীরগতি এবং হলের দুই ভবনে নিম্নমানের সরবরাহকৃত পানি যা পান করার অযোগ্য। এসব সমস্যা নিরসনে প্রভোস্টের কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। এসব বিষয়ে অভিযোগ করলে শিক্ষার্থীদের সাথে অসংগতি পূর্ণ আচরণ এমনকি এরেস্ট করার হুমকিও দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় ঈশা খাঁ হল ইউনিট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, আজ স্বাধীনতা দিবসে হলের ব্যবস্থাপনায় প্রীতি খেলাধূলা ও পুরস্কার বিতরণীর আয়োজন করা হয়। এ সময় অনুষ্ঠানে হল প্রভোস্টকে আসার জন্য ফোন দিলে তিনি আমার সাথে দুর্ব্যবহার করেন এবং এরেস্ট করার হুমকি প্রদান করেন।

হলের আরেক শিক্ষার্থী রেজওয়ান বলেন, বিদেশী (নেপাল) শিক্ষার্থীদের তিনটি কক্ষের দুইটিতে ৬ জন শিক্ষার্থী থাকে। অন্য কক্ষটি তারা খাওয়া ও রান্নার কাজে ব্যবহার করে। আমাদের হলের সিট না পাওয়া শিক্ষার্থীদের ঐ কক্ষে দেওয়ার কথা বললে প্রভোস্ট আমাদেরকে বাঁধা দেন।

এ ব্যপারে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ফকির আজমল হুদা বলেন, আমার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিয়মিত হলে যাই। হলে সারাদিন কাজ থাকে না আমার। প্রয়োজন অনুযায়ী হলে যাওয়া হয়। বিদেশী শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য তাদেরকে আলাদা ভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে তারা ব্যতীত আর কেউ থাকতে পারবে না।

হল সংস্কার ধীরগতির বিষয়ে তিনি বলেন, হল নির্মান ও সংস্কার কাজ চলাকালে শিক্ষার্থীরা বাঁধা প্রদান করে। ছয় মাস আগে তারা হল সংস্কারের সময় ভাংচুর করে। পানির পাম্প নতুন সংযোগ করা হয়েছে এবং নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে। অছাত্র হয়ে কেউ আমার কাজে বাঁধা প্রদান করলে এরেস্ট করা হবে। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী না।

হল প্রভোস্ট আরও বলেন, আমি যদি আমার কাজ সঠিক ভাবে পালন করতে না পারি তাহলে অবশ্যই পদত্যাগ করবো। আর যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয় তার কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসানকে জানিয়েছি। তিনি এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে আছেন। তিনি ফিরে আসলে আলোচনা সাপেক্ষে বিষয়টির সমাধান করবেন।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.