বেরোবি প্রতিনিধি: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সহযোগী অধ্যাপক উমর ফারুককে রংপুরের জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন ‘স্যার’ ডাকতে বাধ্য করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর চেতনা, আদর্শ ও মূল্যবোধে উজ্জীবিত শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) বিকেলে সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিতাই কুমার ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেন, ‘সম্মানিত শিক্ষক উমর ফারুকের সাথে যে বিব্রতকর ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তাতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর চেতনা, আদর্শ ও মূল্যবোধে উজ্জীবিত শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল অত্যন্ত ব্যথিত। নীল দল শিক্ষক উমর ফারুকের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে তারা আরো বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ গড়তে ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের সকলকে আরো দায়িত্বশীল আচরণ পালন করতে হবে। স্মার্ট নাগরিক সেবা প্রদানে রংপুরের জেলা প্রশাসককে আরও সচেতন ও দায়িত্বশীল আচরণ পালন করা উচিত। ভবিষ্যতে যেন এরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সেজন্য সকলকে সতর্ক ও যত্নবান হওয়ার প্রত্যাশা রাখে নীল দল।’
প্রসঙ্গত, গত ২২ মার্চ সন্ধ্যায় একটি স্কুলের বিষয়ে জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন-এর সাথে দেখা করতে যায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উমর ফারুক। এসময় জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীনকে “স্যার” সম্বোধন না করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান ড. চিত্রলেখা নাজনীন এবং চাপ প্রয়োগ করেন।
এর প্রতিবাদে জেলা প্রশাসকের গেটে প্লাকর্ড নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তিনি। পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে প্রতিবাদে শিক্ষক উমর ফারুকের সাথে সংহতি জানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এর প্রায় এক ঘণ্টা পর জেলা প্রশাসক চিত্রলেখা নাজনীন এরকম আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করল বিষয়টি সমঝোতা হয়।