The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

স্বাগত ২০২২: নতুন আলোর প্রত্যাশা

চলে গেল আরো একটি ইংরেজি বছর আগমন হলো নতুনের। ২০২১ সালের সব দুঃখ-বেদনা ভুলে বিশ্ববাসী বরণ করে নিল ২০২২ সালকে। নববর্ষ মানেই সবার মাঝে জাগায় প্রাণের নতুন স্পন্দন, নতুন আশা ও নতুন সম্ভাবনা। বিগত বছরের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা পেছনে ফেলে নতুন বছরে অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাওয়া। স্বভাবতই নতুন বছর নিয়ে এবারও মানুষের প্রত্যাশা একটি করোনা মুক্ত বিশ্ব।

শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই রাজধানীর আকাশে আতশবাজি ও ফানুস উড়তে দেখা যায়। ধীরে-ধীরে তা বাড়তে থাকে। রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই রাজধানীর বিভিন্ন বাড়ির ছাদ থেকে আতশবাজি, আলোকসজ্জা ও রঙ-বেরঙের ফানুসে আকাশ ছেয়ে যায়। এসবের মধ্য দিয়েই ইংরেজি নববর্ষ ২০২২ সালকে রাজধানীসহ সারাদেশের মানুষ বরণ করে নেয়। তবে বরণের এই উৎসবে আনন্দের সাথে আগুনের ঝলন্ত শিখায় পুড়েছে রাজধানীর ১০টি স্থান। ওড়ানো ফানুসে বিভিন্ন জায়গায় এই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বলে জানা গেছে।

আরো পড়ুনঃ ঢাকা মেডিকেল থেকে আর ফেরা হলো না জবি ছাত্রীর

তবে করোনাকালে খোলা জায়গায় বর্ষবরণের আয়োজন না করতে পুলিশের নির্দেশনা ছিল। এরপরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি, হাতিরঝিলসহ নানা এলাকায় সীমিত আকারে পালন করা হচ্ছে বর্ষবরণের আয়োজন।

করোনাভাইরাস মহামারির ছায়াতেই বিশ্বজুড়ে এবারও কোটি কোটি মানুষ নতুন বছরকে স্বাগত জানাচ্ছে। দুই বছর আগে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে বিশ্বজুড়ে ২৮ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষের দেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫৪ লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

বিশ্বজুড়ে আবার গত অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। ওমিক্রন নামে করোনার আরএকটি ধরণ এরই মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়ে চলছে। করোনা ডেলটা এবং ওমিক্রনের সংক্রমনের কারণে অনেক দেশ ইংরেজি নববর্ষের উৎসব বাতিল করছে।

সর্ব  সাধরণের প্রত্যাশা, করোনার তাণ্ডব কাটিয়ে ইংরেজি এ নতুন বর্ষ নতুন আলোয় উদ্ভাসিত হবে। বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে ফিরে আসবে আগেরই মতন স্বাভাবিক পরিবেশ। বিশ্বের অর্থনীতিসহ সামগ্রিক জীবনযাত্রায় ফিরে আসবে ছন্দ।

এদিকে ‘খ্রিষ্টীয় নববর্ষ-২০২২’ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

তবে, করোনার টিকা ছাড়াও অর্থনীতি ও সামাজিক ক্ষেত্রে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনাসহ মানবসম্পদ তৈরির ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হচ্ছে। গত বছরের মত চলতি বছরের মোটা দাগের চ্যালেঞ্জ। আর এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশ আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে, এটাই নতুন ইংরেজি নববর্ষে সবার প্রত্যাশা।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.