সীমাহীন দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির নিকৃষ্ট উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুকৃবি) প্রথম উপাচার্য মো. শহীদুর রহমান খান। অভিযোগের পাহাড় নিয়ে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরে যেতে হয়েছে শেষ পর্যন্ত।
বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে গেলেও তার কুকীর্তি ঢাকা পড়ে যায়নি। দুর্নীতির আমলনামা নিয়ে শেষ পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মুখোমুখি হতে হচ্ছে শহীদুর রহমানকে। সম্প্রতি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কমিশন থেকে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দৈনিক ও সাম্প্রতিক অভিযোগ সেলের সুপারিশে কমিশন থেকে এমন সিদ্ধান্তের পর সম্প্রতি তদন্ত বিভাগের মহাপরিচালককে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইতোপূর্বে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্তেও মো. শহীদুর রহমান খানের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়। যার ভিত্তিতে উপাচার্যের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া নয় স্বজন এবং ৭৩ শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করতে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যদিও সেই সিদ্ধান্ত আজ অবদি বাস্তবায়ন হয়নি। জানা যায় উল্টো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে চিঠি দিয়েছে। নিয়োগ বাতিল না করে কেন বিতর্কিত বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হলো— এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে।
উপাচার্য মো. শহীদুর রহমান খান লাগামহীন নিয়োগ বাণিজ্যের কারণে শিক্ষাঙ্গনটিতে শিক্ষার্থীর চেয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা বেশি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৫০ শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী আছেন ৪৪৭ জন।