বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: সোমবার (২৫শে মার্চ) সকালে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ছাত্রী হলের কর্তব্যরত গার্ডকে ব্যক্তিগত বিবাদের জের ধরে মারধর করে রক্তাক্ত করে স্থানীয় এক যুবক। এ ঘটনায় উক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, টাকা পয়সা লেনদেনের পূর্ব শত্রুতার জের ধরে লিটনকে মারধর করে উক্ত যুবক। এসময় হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে অবগত করলে যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেয় প্রশাসন। এসময় আহত গার্ডকে পোতাজিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রীরা জানান, সকালে আমরা দেখতে পাই গার্ড লিটন মামাকে স্থানীয় এক যুবক বলছেন গেট থেকে বের হ।তোর সাথে কথা আছে। গার্ড বের হতে না চাইলে তাকে মারধর করে রক্তাক্ত করে। আমরা সবাই হলের বারান্দা থেকে মারধর করতে নিষেধ করলেও পরবর্তীতে সে গার্ডকে মারধর করে।
আহত নিরাপত্তাকর্মী লিটনের সাথে কথা বললে লিটন জানায়, কয়েক বছর আগে হাঁস পালন সক্রান্ত বিষয়ে ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা নেওয়া হয় শরিফুলের কাছ থেকে। চুক্তি অনুযায়ী হাসের অর্ধেক খরচ উভয়পক্ষ বহন করার কথা থাকলেও অর্ধেক হাঁস মারা গেলে মৃত হাঁসবাবদ সকল টাকা শরিফুল দাবি করলে তাকে ৪ লাখ টাকা ফেরত দেওয়া হয়। বাকি ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা এপ্রিলের ১ তারিখে ফেরত দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু নির্ধারিত তারিখের পূর্বেই আমার কর্মস্থল রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীহলের ভেতরে এসে আক্রমণ করে শরিফুল।
ঘটনা পরিদর্শনে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো: ফখরুল ইসলাম। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের তিনি জানান, “আহত গার্ডকে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে এবং সে যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। উক্ত কর্মচারীর সাথে যুবকের ব্যক্তিগত ঝামেলা ছিল। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কোন সম্পর্ক নেই।”
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় হামলাকারী যুবক শরিফুলকে গ্রেফতার করেছে শাহজাদপুর মডেল থানা।