সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির আবেদনের সময় শেষ হয়েছে। এবার সরকারি বিদ্যালয়ে আসন প্রতি প্রায় ছয়জন করে আবেদন জমা দিয়েছে। আর বেসরকারি বিদ্যালয়ে সাড়ে তিন আসনে একজন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। তার মধ্যেও আবেদনকারী প্রায় ৭০ হাজার আবেদনকারী এখনো আবেদন ফি জমা দেয়নি। এদিকে বেসরকারি বিদ্যালয়ে আবেদনকারীর সংখ্যা আরও কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সূত্রে জানা গেছে, এবার সারাদেশে ৫৫০টি সরকারি বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ১ লাখ ৭ হাজার ৮৯টি শূন্য আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে। আর দুই হাজার ৮৫২টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি নেওয়া হবে ৯ লাখ ২৫ হাজার ৬৬টি আসনে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সারাদেশে ৫৫০টি বিদ্যালয়ে ১ লখ ৭ হাজার ৮৯টি শূন্য আসনে মোট ৬ লাখ ২৬ হাজার ৫৯টি আবেদন জমা পড়েছে। সে হিসেবে প্রতি আসনে আবেদনকারীর সংখ্যা ৫ দশমিক ৮৪ জন। লটারির মাধ্যমে সব ক্লাসে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে।
অন্যদিকে দেশের ২ হাজার ৮৫২টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে ৯ লাখ ২৫ হাজার ৬৬টি আসনে মাত্র ২ লাখ ৬০ হাজার ৯৩৩টি আবেদন জমা পড়েছে। সেই হিসেবে প্রতি সাড়ে তিনটি আসনে একজন মাত্র আবেদনকারী। এ স্তরে ৬ লাখ ৬৪ হাজার ১৩৩টি আসন খালি থাকছে। শিক্ষার্থী শুন্য থাকছে মোট আসনের প্রায় ৭২ শতাংশ। আগামী ১২ ডিসেম্বর সরকারি বিদ্যালয় ভর্তির লটারি অনুষ্ঠিত হবে। বেসরকারি স্কুলের লটারি ১৩ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির অনলাইন আবেদন গত ১৬ নভেম্বর বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা পর্যন্ত জমা শেষ হয়। এর মধ্যে যারা আবেদন করেছে তারা আজ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন ফি জমা দিতে পারবে।
জানা গেছে, আগামী ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তির সব কাজ শেষ করা হবে। মহানগর ও জেলা সদর উপজেলার বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোর লটারির আওতায় আসবে। তবে যেসব বেসরকারি স্কুল কেন্দ্রীয়ভাবে অনুষ্ঠিত লটারিতে অংশ নেবে না তাদেরও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদিত কমিটির মাধ্যমে লটারি করতে হবে।