কাজী সালাউদ্দিন মুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। একসময়ের এই ফুটবলার বাফুফে সভাপতি হিসেবে ক্রমেই সমর্থকদের বিরাগভাজন হন। শেষ পর্যন্ত চার মেয়াদে সভাপতির পদে থাকার পর সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সালাউদ্দিন। আগামী নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) তার এই ঘোষণার পর সামাজিক মাধ্যমে দেশের ফুটবল সমর্থকরা স্বস্তি প্রকাশ করেন। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সালাউদ্দিনের নির্বাচন না করার ঘোষণাকে উদযাপন করতে কর্মসূচির ডাক দেয় ফুটবল সমর্থকদের সংগঠন আলট্রাস।
তারা বৃষ্টির মধ্যেই বাফুফে ভবন প্রাঙ্গণে উল্লাস করেন। সেখানে স্মোক ফায়ারের পাশাপাশি মিষ্টিমুখও করেন তারা।
প্রসঙ্গত, একসময়ের কৃতি ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিন যখন ২০০৮ সালে বাফুফের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন তার কাছে অনেক প্রত্যাশা ছিল দেশের ফুটবল সমর্থকদের। তবে সেসব প্রত্যাশা পূরণে সালাউদ্দিন বহুলাংশেই ব্যর্থ হয়েছেন বলে মত সংশ্লিষ্টদের। নিয়মিত লিগ চালু রাখা সহ কিছু সাফল্য থাকলেও দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, জবাবদিহিতার অভাব এবং জাতীয় দলের খেলার মানে আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ায় তাকে নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয় সমর্থকদের। এর সঙ্গে প্রায়শই সংবাদ সম্মেলনে বেফাঁস মন্তব্য করে সমালোচকের সংখ্যা নিজেই বাড়িয়ে নিয়েছিলেন।
এর আগেও বেশ কয়েকবার তার পদত্যাগের দাবি উঠলেও গত ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পালাবদলের পর তা জোরালো হয়। সালাউদ্দিন অবশ্য তখন দম্ভভরে বলেছিলেন, পদত্যাগ তো করবেন-ই না, উল্টো পরের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দেন। তবে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ না করলেও অক্টোবরের নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন তিনি।