The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
মঙ্গলবার, ৪ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

সাব্বির হোসেন দম্পতির বিরুদ্ধে দুদক, ঢাকা-১ এর মামলা

দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৪৭,১৬,১৫২ টাকার সম্পদ গোপনের মাধ্যমে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করে এবং পরস্পর যোগসাজশে ১,৪৫,৭৪,১৫২ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক তা ভোগদখলে রাখার দায়ে শাহ নেওয়াজ কাসেম-মোঃ সাব্বির হোসেন দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ ৩ ফেব্রুয়ারি-২০২৫ তারিখে সহকারী পরিচালক মোঃ মাহাবুব মোর্শেদ বাদী হয়ে; দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা, দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলাটি (সজেকা,ঢাকা-১ এর মামলা নং-৫) দায়ের করেন। স্মারক নং-০০.০১.২৬০০.৬১২.০৩.০৫২.২৪-৩৯০৭, তারিখ: ২২/০১/২০২৫ খ্রি. মূলে অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এর স্মারক নং- ০০.০১.২৬০০.৭০২.০৩.০০৪.২৪.৩৫২, তারিখ: ২৩/০১/২০২৫ খ্রি. এর মাধ্যমে অনুমতি প্রাপ্ত হয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে এজাহার সূত্রে জানাগেছে।

এজাহারে বলা হয়েছে, আসামি শাহ নেওয়াজ কাসেম (বর্তমান ঠিকানা: প্রোমোট ব্লু-বেল, বাসা নং-১৬১, বাজার রোড, মালিবাগ, ঢাকা; স্থায়ী ঠিকানা: বাসা-৬১, রোড-৬, গ্রাম-মুলাটোলা, উপজেলা- রংপুর সদর, জেলা- রংপুর) কাসেম দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৪৭,১৬,১৫২ টাকা মূল্যের সম্পদ গোপনের মাধ্যমে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দাখিল করে ও জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ১,৪৫,৭৪,১৫২ টাকা মূল্যের সম্পদ নিজ নামে অর্জনপূর্বক তা দখলে রেখে এবং আসামি মোঃ সাব্বির হোসেন, সিনিয়র সহকারী ম্যানেজার, নবাব এস্টেট, কোর্ট অব ওয়ার্ডস, ঢাকায় চাকুরী করার সুবাদে বিভিন্ন দুর্নীতিমূলক কর্মকান্ড ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে উপার্জিত অবৈধ অর্থের দ্বারা স্ত্রী আসামী শাহ নেওয়াজ কাসেম এর সাথে পরস্পর যোগসাজশে ১,৪৫,৭৪,১৫২ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনপূর্বক তা দখলে রাখতে সহযোগিতা প্রদান করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা, দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

এজাহারের বিবরণ অনুযায়ী, দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এর ই/আর নং: তদন্ত-১/২০১/২০২১/ঢাকা-১ এর অনুসন্ধানকালে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় জানা যায় যে, আসামি মোঃ সাব্বির হোসেনের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে অবৈধ সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত একটি অভিযোগ অনুসন্ধান শেষে তার স্ত্রী মিসেস শাহনেওয়াজ কাসেম-এর নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হওয়ায় তার প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ধারা ২৬(১) দ্বারা প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারীর সুপারিশ করে অনুসন্ধান প্রতিবেদন কমিশনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর দাখিল করা হয়।

তৎপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকার স্মারক নং-০০.০১.২৬০০.৬১১.০১.৩৬০.২১.৪০০১৫, তারিখ: ২৫/১০/২০২৩ খ্রি. মূলে সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারীর অনুমতি প্রদান করা হলে দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এর স্মারক নং-০০.০১.২৬০০.৭০২.০১.০২২.২১.২৮৩৬, তারিখ: ০৮/১১/২০২৩ খ্রি. মূলে আসামি শাহ নেওয়াজ কাসেম-এর নিজ নামে ও তার পোষ্যদের স্বনামে/বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস এবং উহা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী দাখিলের জন্য সম্পদ বিবরণী ফরম নং ০০০৪৫১০ সহ নোটিশ জারি করা হয়।

আসামি শাহ নেওয়াজ কাসেম-এর পক্ষে তার স্বামী আসামি মোঃ সাব্বির হোসেন গত ১০/১২/২০২৩ তারিখে স্বাক্ষর পূর্বক দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক সরবরাহ/জারিকৃত সম্পদ বিবরণী ফরম গ্রহণ করেন এবং আসামি শাহনেওয়াজ কাসেম তার সম্পদ বিবরণীতে গত ০৯/০১/২০২৪ তারিখে স্বাক্ষর পূর্বক ডাকযোগে অত্র কার্যালয়ে প্রেরণ করলে গত ১১/০১/২০২৪ তারিখে উপপরিচালক, দুদক, সজেকা, ঢাকা-১ উহা গ্রহণ করেন। অনুসন্ধানকালে তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তার নিজ নামে স্থাবর ১,৩২,৫৮,০০০ টাকা এবং ০ টাকা অস্থাবর সম্পদ ঘোষণা করেন। দাখিলকৃত উক্ত সম্পদ বিরবণী যাচাইকালে তার নামে স্থাবর ১,৩২,৫৮,০০০ টাকা ও অস্থাবর ৪৭,১৬,১৫২ টাকাসহ মোট ১,৭৯,৭৪,১৫২ টাকা মূল্যের সম্পদ পাওয়া যায়।
এক্ষেত্রে তিনি দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৪৭,১৬,১৫২ টাকা মূল্যের সম্পদ গোপনের মাধ্যমে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করেছেন; যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এজাহারে আরো বলা হয়েছে,সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে আসামি শাহ নেওয়াজ কাসেম-এর উল্লিখিত সম্পদের মধ্যে ঋণ বা দায়ের তথ্য পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ শাহ নেওয়াজ কাশেম এর নামে অর্জিত নীট সম্পদের মূল্য ১,৭৯,৭৪,১৫২ টাকা। অপরদিকে, যাচাই অনুসন্ধানকালে তার নামে গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ৪১,০০,০০০ টাকা। একই সময় তার পারিবারিক ব্যয় পাওয়া যায় ৭,০০,০০০ টাকা। অর্থাৎ সম্পদ অর্জনের নিমিত্ত নীট বৈধ উৎসের পরিমাণ ৩৪,০০,০০০ টাকা। এক্ষেত্রে তার নামে প্রাপ্ত বৈধ উৎসের চেয়ে বেশি বা অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ ১,৪৫,৭৪,১৫২ টাকা, যা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ।
আসামি শাহ নেওয়াজ কাসেম একজন গৃহিণী। তার স্বামী আসামি মোঃ সাব্বির হোসেন, সিনিয়র সহকারী ম্যানেজার, নবাব এস্টেট, কোর্ট অব ওয়ার্ডস, ঢাকা-এর প্রত্যক্ষ সহায়তায় জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ১,৪৫,৭৪,১৫২ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনপূর্বক তা দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মোঃ সাব্বির হোসেন দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.