আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে হঠাৎ করেই জ্বরের প্রকোপ বেড়ে গেছে। এদিকে দেশে করোনার চতুর্থ সংক্রমণ টেউও ফিরছে বলে একাধিক বিশেষজ্ঞ আভাস দিয়েছেন। ঋতু পরিবর্তনের ফলে জ্বর স্বাভাবিক বিষয়। তবে এই জ্বর করোনাভাইরাসের অন্যতম লক্ষণ। তাই শঙ্কা থেকেই যায়- করোনা পজিটিভ না তো!
যেহেতু করোনা আক্রান্ত সময়ের জ্বর ও সাধারণ জ্বরের মধ্যে অনেকটা মিল রয়েছে। তাই খুব সহজে এই জ্বর আলাদা করা কঠিন। তবে বেশ কিছু বিষয় লক্ষ্য করলেই তা সম্ভব। জেনে নেওয়া যাক, সেইসব বিষয়ে যা থেকে করোনা আক্রান্ত নাকি সাধারণ জ্বর চিহ্নিত করা যাবে খুব সহজেই……
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রথম ১০ দিন ১০৪ ডিগ্রি জ্বর থাকবে। কারণ এর প্রকোপ মানুষের শরীরে ১০ দিন যাবত জারি থাকতে পারে, সেইসঙ্গে শুকনো কাশিও থাকবে।
সাধারণ জ্বর মূলত ঋতু পরিবর্তনের প্রভাবে হয়ে থাকে, এই সময়ে জ্বরের সঙ্গে সর্দি, নাক বন্ধ, গলা খুশখুশ ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। অন্যদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে সর্দি বা নাক বন্ধের মতো সমস্যা দেখা দেবে না। করোনা সরাসরি শ্বাসযন্ত্রে আক্রমণ করে, যা শুকনো কাশির সঙ্গে ১০৪ ডিগ্রি জ্বর শরীরকে ভীষণ দুর্বল করে দিতে সক্ষম।
এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, সাধারণ জ্বরে শুধুমাত্র উপসর্গের ভিত্তিতে করোনাকে আলাদাভাবে শনাক্ত করা খুব কঠিন। অনেকক্ষেত্রে অসম্ভবও। এজন্য সাধারণ জ্বর বা সর্দি-কাশি বোধ হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। জ্বর যদি টানা কয়েকদিনেও না সারে, তাহলে একদমই অবহেলা করবেন না।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, বর্তমানে করোনার সংক্রমণ অনেকটাই বেড়ে গেছে। এজন্য জ্বর হলেই করোনার পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া ভালো। করোনা হয়েছে বিবেচনায় পরীক্ষা করাবেন। নেগেটিভ হলে বুঝবেন, এটি সাধারণ জ্বর আর পজিটিভ হলে তখন পরবর্তী নিয়ম মেনে চলবেন।