The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪

সাত বছর পর বিশ্বসেরা র‍্যাংকিংয়ে এগোল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই) প্রকাশিত সর্বশেষ র‍্যাঙ্কিংয়ে স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশের মাত্র পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়। এতে দেশের বিশ্ববিদ্যালগুলোর মধ্যে শীর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। এর মাধ্যমে সাত বছর পর র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হলো বিশ্ববিদ্যালয়টির। এ তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে বেসরকারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এবং তৃতীয় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

বুধবার (১২ অক্টোবর) এ তালিকা প্রকাশ করে টাইমস হায়ার এডকেশন। বিশ্বের ১০৪টি দেশের এক হাজার ৭৯৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যায়নের ভিত্তিতে এ র‍্যাঙ্কিং করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষাদান (টিচিং), গবেষণা (রিসার্চ), গবেষণা-উদ্ধৃতি (সাইটেশন), আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি (ইন্টারন্যাশনাল আউটলুক) এবং ইন্ডাস্ট্রি ইনকামের (শিল্পের সঙ্গে জ্ঞানের বিনিময়) ওপর ভিত্তি করে তালিকাটি করা হয়েছে।

এবারের তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৬০১-৮০০-এর মধ্যে। সাত বছরের মধ্যে র‌্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে ভালো অবস্থান এটি। এর আগে ২০১৬ সালে দেশসেরা ছিল এ বিশ্ববিদ্যালয়। পরের বছর ২০১৭ সালে তালিকায় জায়গা হয়নি দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের। ২০১৮ সালে এক হাজারেরও পর চলে যায় ঢাবি। ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালেও এক হাজারে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। ২০২২ সালে ঢাবির অবস্থান ৮০১-১০০০-এর মধ্যে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, গুণগত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে গবেষণাকেন্দ্রিক বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে। তারই প্রতিফলন ঘটেছে র‌্যাঙ্কিংয়ে। এবার সাইটেশনসহ কয়েকটি সূচকে ঢাবি ভালো করেছে। সামনের দিনে বিশ্ববিদ্যালয় আরো ভালো করবে।

এ তালিকায় নর্থসাউথের অবস্থানও ৬০১ থেকে ৮০০ এর মধ্যে। তৃতীয় বাকৃবি রয়েছে ১২০১ থেকে ১৫০০ এর মধ্যে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানও এর মধ্যে। তালিকায় ছয় বছর ধরে এক নম্বরে আছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। এরপরের অবস্থানে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ম্যাসাচুসেট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি।

টাইমস হায়ার এডুকেশনের র‌্যাঙ্কিং নির্ধারণে বিবেচিত সূচকগুলো বিশদ ব্যাখ্যাও রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, শিক্ষাদান সূচকটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক মান, অর্থাৎ র‌্যাঙ্কিংয়ে নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয়। দ্বিতীয় সূচক গবেষণায় দেখা হয় সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাকর্মের খ্যাতি-জরিপ, গবেষণা থেকে আয় এবং গবেষণার সংখ্যা ও মান।

গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি সূচক হচ্ছে গবেষণা-উদ্ধৃতি। এ ক্ষেত্রে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত কাজ বিশ্বব্যাপী গবেষকদের কতসংখ্যকবার উদ্ধৃত হয়। আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি সূচকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী-কর্মী অনুপাতের সঙ্গে দেখা হয় আন্তর্জাতিক যুক্ততাও।

ইন্ডাস্ট্রি ইনকামে আবিষ্কার, উদ্ভাবন ও পরামর্শের মাধ্যমে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পকে সহযোগিতার সক্ষমতা দেখা হয়। অর্থাৎ ব্যবসায়ীরা গবেষণায় অর্থ ঢালতে কতটা উৎসাহী এবং বাণিজ্যিক বাজারে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিশ্ববিদ্যালয় কতটুকু সক্ষম, সেটিই এ সূচকের মূল কথা।

র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.