ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। কলেজগুলোর সর্বমোট ২৩ হাজার ২৬২ আসনে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। চূড়ান্ত মনোনয়নের পরেও অপেক্ষমাণ রয়েছেন ভর্তিচ্ছুদের বড় একটি অংশ। তারা আসন খালি সাপেক্ষে তাদের ভর্তির সুযোগের দাবি জানিয়েছেন।
তবে চূড়ান্ত মনোনয়ন প্রকাশের পর এই মুহূর্তে সরকারি সাত কলেজে কোন আসন ফাঁকা নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বুধবার রাতে বলেন, ঢাবির পক্ষ থেকে সাত কলেজের এ বর্ষের ভর্তি কার্যক্রম প্রায় শেষ।
তিনি বলেন, নির্দিষ্ট সবকটি আসনে চূড়ান্ত মনোনয়নের পর যদি কোনো আসন ফাঁকা হয়ে যায় সেক্ষেত্রে ওই আসনগুলোতে অপেক্ষমাণ ভর্তিচ্ছুরা সুযোগ পেতে পারেন। আগামী ৫ মার্চের মধ্যে কলেজগুলো আসনের বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে জানাবে। এরপর নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
চূড়ান্ত মনোনয়নের পর অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের একাংশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ভর্তির সুযোগের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন। তারা বলছেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলে গেছে। এর ফলে সাত কলেজের অনেক আসন ফাঁকা থাকবে। এই অবস্থায় ফাঁকা আসনগুলোতে অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দিতে হবে।
অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এরজন্য ভর্তিচ্ছুদের অপেক্ষা করতে হবে।
এর আগে, গত সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়েছে। এরপর চূড়ান্ত তালিকায় থাকা ভর্তিচ্ছুরা দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পরিশোধের মাধ্যমে চান্স পাওয়া কলেজগুলোতে গিয়ে ভর্তি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, আজ বুধবার থেকে সাতটি কলেজের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হয়েছে। এদিন সকাল থেকে নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে কলেজগুলো তাদের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়েছে। এতে শিক্ষকদের সঙ্গে ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের নেতারাও অংশ নিয়েছেন।