ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের সময় ঢাকায় একটি হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। যদিও সেই ঘটনার সময়ে দেশের বাইরে ছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক এই সংসদ সদস্য। তাই সাকিবের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। এবার এই মামলা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন অন্তর্বতী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিদ নজরুল।
গত ৫ আগস্ট আদাবরে পোশাক কারখানার কর্মী মো. রুবেল হত্যার ঘটনায় তার বাবা রফিকুল ইসলামের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আরও অনেকের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে সাকিবকে। এরপর হত্যা মামলায় আসামি হওয়ায় জাতীয় দল থেকে বাদ দিয়ে মামলার তদন্তের স্বার্থে সাকিবকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিসিবিকে আইনি নোটিশ পাঠান একজন আইনজীবী।
তবে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, আদালতে দোষী প্রমাণিত হওয়ার আগে পর্যন্ত সাকিবের খেলতে কোনো বাধা নেই। প্রয়োজনে বিসিবি তাকে সব রকমের আইনি সহায়তাও দেবে। বর্তমানে জাতীয় দলের সঙ্গে ভারত সফরে আছেন এই অলরাউন্ডার।
এই সিরিজের আগে গত মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। সেখানেও দলের সঙ্গে ছিলেন সাকিব। তবে পাকিস্তান সফর আর ভারত সফরের মাঝের সময়ে দেশে ফেরেননি এই অলরাউন্ডার। কাউন্টি খেলতে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। অনেকের মতে মামলার কারণেই দেশে আসেননি সাকিব।
গতকাল রাতে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি বাংলা সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিবের মামলা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘মামলার কারণে সাকিব কিংবা জায়েদ খান, তাদের কারো সঙ্গে কি গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে? ঘটেনি। আমরা বারবার মানুষকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি, আমরা পুলিশকে বলেছি, ‘আপনারা বুঝানোর চেষ্টা করেন মানুষকে যে, মামলাতে আপনি যে অভিযোগ আনছেন সেটা বিশ্বাসযোগ্য কিনা।’ পুলিশের কাছ থেকে এবং আদালতের কাছ থেকে আমরা তথ্য পেয়েছি, যারা মামলা করতে আসে সেখানেও (পুলিশের ওপর) চাপ থাকে।’
সাকিবের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাটা ব্যক্তিগত, এটা রাষ্ট্র করেনি বলে আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘যখন কেউ মামলা করে, মামলা করাটা মানুষের অধিকার। ব্যক্তিগতভাবে একজন মামলা করে দিলো। এই মামলাগুলো পুলিশ করেনি, পুলিশ যদি করে তাহলে বুঝবেন এটার সঙ্গে রাষ্ট্র জড়িত আছে। এ মামলাগুলো ব্যক্তিগতভাবে করা হয়েছে। একটা জিনিস সবাইকে বলার চেষ্টা করেছি, এফআইআর মানেই গ্রেপ্তার না। কিছু কিছু মানুষ যখন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে যে, এই মামলা তার নামে হওয়ার কথা না। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সঙ্গে কাজ করি। আমরা আশ্বাস দেওয়ার চেষ্টা করি যে, পুলিশ বিশ্বাসযোগ্য তথ্য না পেলে আপনাদের গ্রেফতার করবে না।’