The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ৩০শে জানুয়ারি, ২০২৫

সাইফ আলি খানের ঘটনায় এবার এক নারী গ্রেপ্তার

ডেস্ক রিপোর্ট: হঠাৎ বলিপাড়া সরগরম হয়ে যায় সাইফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনায়। গত ১৫ জানুয়ারি ঘটে যাওয়া হামলার ঘটনায় এবার গ্রেফতার করা হয়েছে এক নারীকে। মুম্বাই পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে নদিয়া জেলার চাপড়া অঞ্চল থেকে তাকে আটক করে।

পিটিআই সংস্থার খবর অনুযায়ী, সূত্র থেকে খবর পেয়ে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) মুম্বাই পুলিশ খুঁজতে থাকেন সেই নারীকে, যার সঙ্গে যোগ রয়েছে সাইফের হামলার ঘটনার মূল অভিযুক্ত শরিফুলের।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এই নারীর সাহায্যেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে পা দেয় শরিফুল।

আরও জানা গেছে, গ্রেফতার হওয়া নারী আদতে মুর্শিদাবাদের আন্দুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তাকে বর্তমানে মুম্বাইয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এর আগে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সাইফ বলেছিলেন, ‘হামলার দিন ১১ তলার বেডরুমে আমি আর আমার স্ত্রী (বলিউড অভিনেত্রী) কারিনা কাপুর ঘুমিয়ে ছিলাম। ছোট ছেলে জেহ ও পরিচারিকা ইলিয়ামা ফিলিপসের চিৎকারে আমরা জেগে উঠি।’

সাইফ আরও বলেন, ‘আমার দুই ছেলে ও তাদের পরিচারিকা ১২তলায় থাকে। আমি ইলিয়ামার চিৎকার শুনে ১১তলা থেকে ১২তলায় ছুটে গিয়ে দেখি, অজ্ঞাত ব্যক্তির সঙ্গে তার ধস্তাধস্তি চলছে। তখন আমি ইলিয়ামাকে বাঁচাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে পেছন থেকে ধরে ফেলি। তখন সে আমার হাত থেকে বাঁচতে ছুরিকাঘাত করতে শুরু করে।’

বিভৎস সে রাতের কথা মনে করে সাইফ বলেন, মূলত ডাকাতির উদ্দেশ্যেই ১২তলায় বেয়ে উঠেছিল ওই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। কিন্তু ধরা পড়ায় ধারালো ছুরি দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে শুরু করে।’

সাইফ বলেন, আমাকে রক্তাত অবস্থায় দেখে কারিনা ও দুই ছেলে ঘাবড়ে যায়। সে সময় হামলাকারীকে ধরে পাশের একটি রুমে বন্দিও করেছিলাম। কিন্তু সেখান থেকে সে পালিয়ে যায়।’

গত ১৫ জানুয়ারি দিবাগত রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রার নিজ বাড়িতে হামলার শিকার হন সাইফ আলি খান। হামলাকারী হিসেবে অভিযুক্ত মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ সাইফকে ছয়বার ছুরিকাঘাত করেন।

হামলার পরপরই রক্তাক্ত সাইফকে ভর্তি করা হয় লীলাবতী হাসপাতালে। সেখানে সফল অস্ত্রোপচারসহ পাঁচদিনের চিকিৎসা শেষে গত ২১ জানুয়ারি হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় ফেরেন সাইফ।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.