সরওয়ার মাহমুদ, চবিঃ গত বৃহস্পতিবার দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি মারজান আক্তার ও আরটিভির ফটো সাংবাদিক এমরুল কায়েসকে পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে হেনস্তার ঘটনায় অভিযুক্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজতত্ত্ব বিভাগের ১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী মারুফ ইসলামকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষিতে সংগঠন বিরোধী, শৃঙ্খলা – পরিপন্থী অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে চবি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ ইসলামকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো।
এ বিষয়ে বহিস্কৃত মারুফ ইসলাম বলেন, এটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। কেননা চারুকলার আন্দোলনে আমার ছেলেদের নিতেই আমি ওখানে গিয়েছিলাম। একজন ভিডিও করছে দেখে আমি তাকে সাধারণ শিক্ষার্থী ভেবে ভিডিও ডিলিট করতে বলি। যখন সে সাংবাদিক পরিচয় দিয়েছে আমি তার কাছে সরি বলেছি।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহবুব এ রহমানকে মুঠোফোনে বলেন, বাংলাদেশের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করার সুযোগ নেই৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে শিক্ষা ক্ষেত্রে যে জাগরণ, যে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সেটিকে কোনোভাবে বানচাল করার বা ভূলুণ্ঠিত করার সুযোগ নেই৷ যদি কেউ কোনোভাবে চেষ্টা করে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে যেমনটি আমরা এই ঘটনায় করেছি।
এদিকে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি।