১ মাসেরও বেশি সময় পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা সশরীরে ক্লাসে ফিরেছে। দীর্ঘ এ ছুটিতে বিভাগগুলো তাদের একাডেমিক কার্যক্রম অনলাইনেই পরিচালনা করেছে। আজ মঙ্গলবার সশরীরে ক্লাসে আসতে পেরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রফুল্লতা বিরাজ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজকের এই অফলাইন শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বর্ষের শিক্ষার্থীদের সশরীরে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষা কার্যক্রম যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে চলবে। এছাড়া, পূর্বঘোষিত রুটিনভিত্তিক পরীক্ষাসমূহ চলমান থাকবে।
সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রমের ব্যাপারে আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী হাবিব রহমান বলেন, সশরীরে ক্লাস শুরু হওয়াতে আমরা অনেক খুশি হয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ থাকবে যে, ভবিষ্যতে সর্বোচ্চ স্বাস্থবিধি মেনে অফলাইনেই যেন সব ক্লাস নেয়া হয়।
ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়ামান বলেন, অনলাইন ক্লাস আসলে ততটা ফলপ্রসূ হয়না। আমরা সশরীরেই ক্লাস করতে চাই।
যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শহীদ হাসান হৃদয় বলেন, ক্লাস অনলাইনে হোক বা অফলাইনে হোক আমার কোন সমস্যা নেই। চার মাসে সেমিস্টার শেষ হলেই হলো।
সশরীরে ক্লাসে ফেরার পর শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা সনদ যাচাই করা হবে, কিনা জানতে চাইলে শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক যে বিজ্ঞপ্তি আমরা পেয়েছি তাতে টিকা সনদ যাচাইয়ের কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি। এজন্য এ ব্যাপারটিকে আমরা আপাতত বিবেচনায় নিচ্ছিনা। তবে ক্লাসরুমে অবশ্যই স্বাস্থবিধি মানতে হবে এবং মাস্ক ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবেনা। আর শিক্ষার্থীদের মধ্যে টিকা কে কে নিয়েছে আর কে নেয়নি তার সব তথ্যই আমাদের কাছে রয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনের আলোকে ঢাবিতে সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম গত ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। আবার ওমিক্রনের সংক্রমণ হার দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির মেয়াদ ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে আরো দুই সপ্তাহ বাড়িয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছিল।