ডেস্ক রিপোর্ট: দুই পরিবার দেখাশোনা করে বিয়ে ঠিক করেছেন তরুণ-তরুণীর। তরুণীর দিক থেকে বিয়ে করার প্রাথমিক শর্তই ছিল, পাত্র যেন সরকারি চাকরিজীবী হন। কথাবার্তা পাকা হওয়ার পর বিয়েতে সম্মতিও দিয়েছিলেন তিনি। চারহাত এক করতে দুজনে পৌঁছে যান বিয়ের পিঁড়িতে।
কিন্তু মালাবদলের পরেই হঠাৎ তরুণী জানান যে, পাত্র তার পছন্দ নয়। তৎক্ষণাৎ বিয়ে ভেঙে দেন তিনি। পাত্র সরকারি চাকরি না করায় পাত্রীর এমন সিদ্ধান্ত।
সম্প্রতি ঘটা ভারতে উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদ জেলার এ ঘটনা নিয়ে আজ শনিবার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ।
প্রতিবেদন বলছে, দুই পরিবারের দেখাশোনার পর বিয়ে ঠিক হয় ওই তরুণ-তরুণীর। তরুণীর দিক থেকে বিয়ে করার প্রাথমিক শর্তই ছিল, পাত্র যেন সরকারি চাকরিজীবী হন। কথাবার্তা পাকা হওয়ার পর বিয়েতে সম্মতিও দিয়েছিলেন তিনি।
চারহাত এক করতে বরপক্ষ পৌঁছে যায় তরুণীর বাড়িতে। কিন্তু মালাবদলের পরই হঠাৎ তরুণী জানান, তাঁর পাত্র পছন্দ নয়। তৎক্ষণাৎ বিয়ে ভাঙতে চান তিনি। পাত্রীর এমন সিদ্ধান্ত শুনে চমকে যান সকলেই।
পাত্র পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। ছত্তীসগঢ়ের বলরামপুরের বাসিন্দা তিনি। পাত্রের পরিবার কনৌজে একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকেন। আগে সরকারি ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন পাত্র। পরে বেসরকারি সংস্থায় চাকরি শুরু করেন তিনি। ২০ বিঘার একটি জমি ছাড়াও আরও ছটি জমির মালিকানা রয়েছে পাত্রের।
পাত্র যে বেসরকারি সংস্থায় চাকরি পেয়েছেন তা জানতেন না পাত্রী। বিয়ের সময় মালাবদল সেরে ওঠার পর পাত্রী জানতে পারেন সে কথা। সঙ্গে সঙ্গে বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া কিছুতেই বিয়ে করবেন না বলে জানান পাত্রী। কনেপক্ষের সঙ্গে পাত্রপক্ষের আলোচনা হয়। এমনকি কনেপক্ষকে বেতনের নথিও দেখান পাত্র।
জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বেতন পান তরুণ। তবুও বিয়ে করতে নারাজ পাত্রী। অবশেষে দুই পক্ষ মিলে সিদ্ধান্ত নেয়, বিয়ের জন্য যাবতীয় যা খরচ হয়েছে তা সমান দুই ভাগ করা হবে। টাকাপয়সার হিসাব মিটিয়ে পাত্রী ছাড়াই ফিরে যায় বরপক্ষ।