ডেস্ক রিপোর্ট: সরকারি গাড়িচালক পদের নাম পরিবর্তন করে মোটর ট্রান্সপোর্ট অপারেটর (এমটিও) করার দাবি তোলা হয়েছে। এছাড়াও ৯ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি গাড়িচালক সমিতি।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) ইস্কাটনের সবজি বাগান এলাকায় সমিতির নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। দাবি জানান সমিতির সদস্য সচিব মো. হুমায়ুন কবির।
সমিতির অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে— বিআরটিএ এর বিভিন্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যায়, তাই ড্রাইভিং লাইসেন্সকেই কারিগরি সনদ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে; সরকারি গাড়িচালক পদটি ব্লক পোস্ট বাতিল করে যোগ্যতা অনুযায়ী পদোন্নতির ব্যবস্থা করতে হবে; বৈষম্যমুক্ত নবম জাতীয় পে-কমিশন গঠন করতে হবে। পে-কমিশনে বাংলাদেশ সরকারি গাড়িচালক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিনিধি রাখতে হবে; সরকারি জিও এর মাধ্যমে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে সেবা সহজীকরণের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের ব্যবস্থা করতে হবে; বাংলাদেশ সরকারি গাড়িচালক সমিতি কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও ট্রেনিং ইনিস্টিটিউট ভবনসহ ঢাকায় স্থায়ী জায়গা বরাদ্দ করতে হবে।
এছাড়া সরকারি গাড়িচাকলদের অধিকাল ভাতার ঘণ্টা নিরুপণ করে হাইকোর্টের মতো করতে হবে; সরকারি গাড়িচালকদের ঝুঁকিভাতা ও রেশন ব্যবস্থা চালু করতে হবে এবং আউটসোর্সিং প্রথা বাতিল করে স্থায়ী সব সরকারি গাড়িচালক শূন্যপদে অবিলম্বে নিয়োগ দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলন সমিতির আহ্বায়ক ইসাহাক কবির বলেন, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সরকার বৈষম্য রেখে জাতীয় ৮ম পে-স্কেল ঘোষণা করেছিল। যা সরকারি গাড়িচালকসহ সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি অভিন্ন পে-স্কেল। কর্মকর্তারা এই পে-স্কেলে সুবিধাভোগী হয়েছেন। কিন্তু সরকারি গাড়িসলকসহ কোনো কর্মচারী কোনো ধরনের সুবিধা পান নাই। তারপরও প্রায় ১০ বছর হয়ে গেছে দ্রব্যমূল্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও বাড়িভাড়ার ঊর্ধ্বগতি থাকায় সরকারি গাড়িচালকসহ সাধারণ কর্মচারীরা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। তাই পে-কমিশন গঠন করে নবম পে-স্কেলসহ ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কাছে আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।