The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪

সমাবর্তনের অপেক্ষায় ইবাইস ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীরা

সাদিয়া রাহমানঃ বাংলাদেশের একসময়ের সর্বোচ্চ বেসরকারি বিদ্যাপীঠ ইবাইস ইউনিভার্সিটি । প্রতিষ্ঠার ২০ বছর পার করলেও মাত্র একটি সমাবর্তনের আয়োজন করতে পেরেছে বাংলাদেশের অন্যতম এ বিশ্ববিদ্যালয়। ২য় সমাবর্তনের জন্য দীর্ঘ ১০ বছর ধরে অপেক্ষায় হাজারো শিক্ষার্থী। বিভিন্ন সময় সমাবর্তনের জন্য একাধিকবার উদ্যোগ নেয়া হলেও অদৃশ্য কারণে তা এখনো আলোর মুখ দেখছে না। এ নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ কয়েক হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী।

সমাবর্তন আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যথাযথ উদ্যোগ আর সদ্বিচ্ছাকে দায়ী করছেন এসব শিক্ষার্থী। কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করেছে প্রশাসন। তাদের ভাষ্য, করোনা মহামারীর কারণে সমাবর্তন নিয়ে কাজ কর হয়নি। দ্রুত সমাবর্তন আয়োজন করা সম্ভব হবে বলেও আশা তাদের।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন চ্যান্সেলর জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় ইবাইস ইউনিভার্সিটির প্রথম সমাবর্তন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরো অনেকগুলো ব্যাচ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি শেষ করলেও তাদের কেউ সমাবর্তন পাননি।

২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে কম্পিউটার প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ থেকে পাস করেছেন মতিউর রহমান। তিনি বলেন, দেশের অন্যান্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতি বছরই সমাবর্তনের আয়োজন করে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর তো দূরের কথা একযুগেও একবার সমাবর্তন হয় না। দীর্ঘ ২০ বছরের পথচলায় ইবাইস ইউনিভার্সিটি মাত্র একবার সমাবর্তন হয়েছে। এই ব্যর্থতা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। যথাযথ উদ্যোগ আর সদ্বিচ্ছা থাকলে প্রতি বছরই সমাবর্তন আয়োজন করতে পারত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

একই অভিযোগ করে আর্টস অনুষদের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ২০১২ সালে ভর্তি হওয়ার পর একবারও সমাবর্তন হতে দেখিনি। অন্যান্য সব বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন আয়োজন করলেও আমরা বারবার দেখেছি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে নীরব।

ইবাইস ইউনিভার্সিটি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাকারিয়া লিংকন বলেন, শিক্ষার্থীদের মতো আমি নিজেও চাই দ্রুত সমাবর্তন হোক। আমি এটা আয়োজন নিয়ে আলোচনাও করেছিলাম। করোনা মহামারীর কারণে আমরা সমাবর্তন নিয়ে কাজ করতে পারিনি। আশা করছি শিক্ষার্থীদের এ দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে পারব।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. ক্যাম্পাস
  3. সমাবর্তনের অপেক্ষায় ইবাইস ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীরা

সমাবর্তনের অপেক্ষায় ইবাইস ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীরা

সাদিয়া রাহমানঃ বাংলাদেশের একসময়ের সর্বোচ্চ বেসরকারি বিদ্যাপীঠ ইবাইস ইউনিভার্সিটি । প্রতিষ্ঠার ২০ বছর পার করলেও মাত্র একটি সমাবর্তনের আয়োজন করতে পেরেছে বাংলাদেশের অন্যতম এ বিশ্ববিদ্যালয়। ২য় সমাবর্তনের জন্য দীর্ঘ ১০ বছর ধরে অপেক্ষায় হাজারো শিক্ষার্থী। বিভিন্ন সময় সমাবর্তনের জন্য একাধিকবার উদ্যোগ নেয়া হলেও অদৃশ্য কারণে তা এখনো আলোর মুখ দেখছে না। এ নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ কয়েক হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী।

সমাবর্তন আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যথাযথ উদ্যোগ আর সদ্বিচ্ছাকে দায়ী করছেন এসব শিক্ষার্থী। কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করেছে প্রশাসন। তাদের ভাষ্য, করোনা মহামারীর কারণে সমাবর্তন নিয়ে কাজ কর হয়নি। দ্রুত সমাবর্তন আয়োজন করা সম্ভব হবে বলেও আশা তাদের।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন চ্যান্সেলর জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় ইবাইস ইউনিভার্সিটির প্রথম সমাবর্তন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরো অনেকগুলো ব্যাচ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি শেষ করলেও তাদের কেউ সমাবর্তন পাননি।

২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে কম্পিউটার প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ থেকে পাস করেছেন মতিউর রহমান। তিনি বলেন, দেশের অন্যান্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতি বছরই সমাবর্তনের আয়োজন করে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর তো দূরের কথা একযুগেও একবার সমাবর্তন হয় না। দীর্ঘ ২০ বছরের পথচলায় ইবাইস ইউনিভার্সিটি মাত্র একবার সমাবর্তন হয়েছে। এই ব্যর্থতা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। যথাযথ উদ্যোগ আর সদ্বিচ্ছা থাকলে প্রতি বছরই সমাবর্তন আয়োজন করতে পারত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

একই অভিযোগ করে আর্টস অনুষদের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ২০১২ সালে ভর্তি হওয়ার পর একবারও সমাবর্তন হতে দেখিনি। অন্যান্য সব বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন আয়োজন করলেও আমরা বারবার দেখেছি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে নীরব।

ইবাইস ইউনিভার্সিটি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাকারিয়া লিংকন বলেন, শিক্ষার্থীদের মতো আমি নিজেও চাই দ্রুত সমাবর্তন হোক। আমি এটা আয়োজন নিয়ে আলোচনাও করেছিলাম। করোনা মহামারীর কারণে আমরা সমাবর্তন নিয়ে কাজ করতে পারিনি। আশা করছি শিক্ষার্থীদের এ দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে পারব।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন