সাকিবুল ইসলাম, জবি প্রতিনিধি: সমাজকর্ম মাদক ও কুসংস্কার থেকে দূরে থাকতে শেখায় বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারী) সমাজকর্ম বিভাগের কনফারেন্স রুমে ‘ছাত্র কাউন্সিলিং ও বৃত্তি প্রদান’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, সমাজকর্ম বিভাগ অ্যাকশন ওরিয়েন্টেট বিভাগ। এটি শুধু থিওরি শেখায় না, সমাজকর্ম মাদক, কুসংস্কার থেকে দূরে থাকা শেখায়। ধর্মনিরপেক্ষতা মানে নয় ধর্মহীনতা, সকল ধর্মকে আমি সম্মান করবো, সবার ধর্মের উৎসবে যাবো, নিজের মতো করে ধর্ম চর্চা করবো। কিন্তু ধর্মটাকে যখন আমি আইডেনটিটিতে নিয়ে আসি তখনই সমস্যা হয়ে যায়। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও অনেক ধর্মপরায়ণ তাহলে তিনি কিভাবে চলেন সেটাও আমাদের আইডেনটিটি হতে পারে। সমাজকর্মের কোনো বন্ধ দরজা জানালা নাই তোমরা উন্মুক্ত, তোমাদের অর্মত্য সেন, বেগম রোকেয়া পড়তে হবে।”
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবীর বলেন, যারা মেধা বৃত্তি পেয়েছেন তাঁদেরও কো-কারিকুলার ও এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিসের সাথে যুক্ত হয়ে সম্পূর্ণ প্যাকেজে পরিণত হতে হবে। সমাজকর্ম বিভাগের এত সুন্দর তিনটি ক্যাটগরিতে বৃত্তি দেওয়া সত্যিই প্রশংসনীয়।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন বলেন, আমরা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে চলে এসেছি। এখন সবাইকে স্মার্ট হতে হবে। বেশি বেশি তথ্য সমৃদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের সোনার বাংলাদেশকে আরও স্মার্ট বাংলাদেশ বানাতে হবে। এজন্য আরও স্মার্ট সমাজকর্মী দরকার। কারণ তারা জানে কিভাবে পরিবর্তন আনতে হয়ে। সকল বিষয়ে তাদের জ্ঞান আছে।
সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রাজিনা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর চৌধুরী এবং সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল হোসেন। অনুষ্ঠানের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানের শুরুতে বিভাগীয় শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করা হয় এবং পরবর্তিতে সমাজকর্ম বিভাগের ১৩তম ব্যাচের ৫ জন এমএসএস শিক্ষার্থীদের মাঝে ৩টি ক্যাটাগরিতে সোশ্যাল ওয়ার্ক কো-কারিকুলার বৃত্তি, এক্সট্রা কারিকুলার বৃত্তি এবং মেধা বৃত্তি প্রদান করা হয়।