The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪

সব বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান থাকতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শুধু ছাত্র ভর্তি নয়, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে জানতে হবে আগামীতে নিজেকে কোন বিশেষ অবস্থানে দেখতে চায়। ধারণক্ষমতা অনুযায়ী যেন শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়, ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত ভর্তি করিয়ে আবাসন, খাবার, ক্লাসরুম সংকট যেন না হয়, এসব নিয়ে ভাবতে হবে।

সোমবার (২৮ মার্চ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২২ উপলক্ষে শিক্ষক সমিতি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু: বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টির মহানায়ক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা শুধু সংখ্যার দিকে তাকাবো না, আমাদের ভারসাম্যতার দিকেও দৃষ্টি দিতে হবে। শিক্ষকদের ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যানের চেয়ে একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যানের ওপর গুরুত্ব দেয়া উচিত। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস যাতে সুন্দরভাবে দ্রুত সময়ের মধ্যে গড়ে তোলা যায় সে সম্পর্কে সরকার সচেষ্ট রয়েছে এবং তাঁর সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

জবি শিক্ষক সমিতি আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে চিনবার, জানবার এবং বুঝবার একটা বড় প্রয়োজন আমাদের জন্যে আছে। বঙ্গবন্ধুকে জানলে আমরা এ ভূখণ্ডকে জানবো, আমরা এ ভূখণ্ডের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্নের কথা জানবো। আমরা সেই অতীতের উপর ভিত্তি করে, বর্তমানে দাঁড়িয়ে, কোন ভবিষ্যত তৈরি করতে চাই, তার একটা স্পষ্ট দিকনির্দেশনা পাবো, সেজন্যে বঙ্গবন্ধুকে জানা খুব জরুরি।

মন্ত্রী আরও বলেন, ষড়যন্ত্র এখনো চলছে, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী, পঁচাত্তরের হত্যাকারী, ২০০১ থেকে ২০০৬-এর হত্যা, নির্যাতনকারী, গ্রেনেড হামলাকারী, ২০১৩-১৪ এর অগ্নিসন্ত্রাসী ওই একই অপশক্তি আমাদের বিরুদ্ধে, দেশের বিরুদ্ধে, স্বাধীনতা-উন্নয়নের বিরুদ্ধে, আমাদের এগিয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র করছে। এদের বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান এবং স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান।

অনুষ্ঠানে উপচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, সীমিত সুযোগ-সুবিধা থাকা স্বত্ত্বেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা থেমে নেই। এমনকি করোনা মহামারী চলাকালীন সময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ ছিল না।

এসময় শিক্ষক সমিতির পক্ষে সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও ‘বঙ্গবন্ধু স্কলারশিপ’ চালু করা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নকে ত্বরাণ্বিত করার জোর দাবি জানান।

আলোচনা সভায় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট, প্রক্টর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক প্রতিনিধি এবং কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. ক্যাম্পাস
  3. সব বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান থাকতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

সব বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান থাকতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শুধু ছাত্র ভর্তি নয়, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে জানতে হবে আগামীতে নিজেকে কোন বিশেষ অবস্থানে দেখতে চায়। ধারণক্ষমতা অনুযায়ী যেন শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়, ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত ভর্তি করিয়ে আবাসন, খাবার, ক্লাসরুম সংকট যেন না হয়, এসব নিয়ে ভাবতে হবে।

সোমবার (২৮ মার্চ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২২ উপলক্ষে শিক্ষক সমিতি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু: বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টির মহানায়ক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা শুধু সংখ্যার দিকে তাকাবো না, আমাদের ভারসাম্যতার দিকেও দৃষ্টি দিতে হবে। শিক্ষকদের ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যানের চেয়ে একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যানের ওপর গুরুত্ব দেয়া উচিত। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস যাতে সুন্দরভাবে দ্রুত সময়ের মধ্যে গড়ে তোলা যায় সে সম্পর্কে সরকার সচেষ্ট রয়েছে এবং তাঁর সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

জবি শিক্ষক সমিতি আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে চিনবার, জানবার এবং বুঝবার একটা বড় প্রয়োজন আমাদের জন্যে আছে। বঙ্গবন্ধুকে জানলে আমরা এ ভূখণ্ডকে জানবো, আমরা এ ভূখণ্ডের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্নের কথা জানবো। আমরা সেই অতীতের উপর ভিত্তি করে, বর্তমানে দাঁড়িয়ে, কোন ভবিষ্যত তৈরি করতে চাই, তার একটা স্পষ্ট দিকনির্দেশনা পাবো, সেজন্যে বঙ্গবন্ধুকে জানা খুব জরুরি।

মন্ত্রী আরও বলেন, ষড়যন্ত্র এখনো চলছে, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী, পঁচাত্তরের হত্যাকারী, ২০০১ থেকে ২০০৬-এর হত্যা, নির্যাতনকারী, গ্রেনেড হামলাকারী, ২০১৩-১৪ এর অগ্নিসন্ত্রাসী ওই একই অপশক্তি আমাদের বিরুদ্ধে, দেশের বিরুদ্ধে, স্বাধীনতা-উন্নয়নের বিরুদ্ধে, আমাদের এগিয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র করছে। এদের বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান এবং স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান।

অনুষ্ঠানে উপচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, সীমিত সুযোগ-সুবিধা থাকা স্বত্ত্বেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা থেমে নেই। এমনকি করোনা মহামারী চলাকালীন সময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ ছিল না।

এসময় শিক্ষক সমিতির পক্ষে সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও ‘বঙ্গবন্ধু স্কলারশিপ’ চালু করা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নকে ত্বরাণ্বিত করার জোর দাবি জানান।

আলোচনা সভায় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট, প্রক্টর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক প্রতিনিধি এবং কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন