The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সদরঘাটে কমেছে চাঁদাবাজিসহ অন্যান্য অনিয়ম ও দুর্নীতি

নাইমুর রহমান , জবিঃ দেশের অন্যতম বৃহৎ নদীবন্দর সদর ঘাটকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজি, মাদকের কারবার, জুয়া খেলা, কুলিদের বেপরোয়া কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতি ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। তবে সরকার পতনের পর পাল্টে গেছে সদরঘাটের চিত্র। এখন অনেকটা স্বস্তিতেই রয়েছে যাত্রীসহ আশপাশের সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা। তবে আপাতত যাত্রীর সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম।

সরেজমিনে সদরঘাট ও এর আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আশেপাশের দোকানগুলোতে কিছুকিছু জিনিসপত্রের দাম কমেছে। খাবারের পরিমাণেও পরিবর্তন এসেছে। আগে নৌকা ঘাটে চাঁদা তুলতো কিন্তু এখন চাঁদা তোলা বন্ধ হয়েছে। একসময় কুলিদের লাল নীল হলুদ বাহিনী অভিনব কৌশলে যাত্রীদের জিম্মি করে চাঁদা আদায় করত। কিন্তু সেই নানা রঙ্গের বাহিনীকে সদরঘাটে দেখা যায়নি। সদরঘাটের আশেপাশে প্রকাশে অনেকে মাদকদ্রব্য কারবারি চলত কিন্তু বর্তমানে বন্ধ আছে। অনেকে জানান তারা গোপনে তাদের কারবারি চালাচ্ছে।

এবিষয়ে এমভি সোনার তরী -৩ এর এক কেরানী বলেন ,, সদরঘাটের এমন চিত্র বিরল।এর আগে কখনো এমন শৃঙ্খল পরিস্থিতি সরজমিনে দেখিনি
। আশেপাশে টোকাইরা মাদকদ্রব্য সেবন ও বিক্রি করতো।এখন তাদের আর দেখা যায়না। লঞ্চের ভাড়া এখন সরকার কর্তৃক নির্ধারিত দামে নেওয়া হচ্ছে। অন্যায়ের কোনো সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে ফল বিক্রেতা আব্দুল করিম বলেন,এখন আমরা অনেক ভালো আছি। লাভের অংশের অনেকটা চাঁদাবাজদের দখলে চলে যেত। এখানে প্রত্যেক দোকান থেকে ১০০ টাকা করে চাঁদা নিত। সদরঘাটে প্রবেশ করা থেকে শুরু করে বের হওয়া পর্যন্ত চাঁদাবাজদের সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবে এখন এমন কোনো কিছুই নেই।বউ বাচ্চা নিয়ে সুখে আছি। লাভের অংশে আর কেউ ভাগ বসাইতে পারছে না।

সদরঘাট থেকে একটি খাবারের দোকান থেকে জারিফ হাসান নামে এক হোটেল বয় বলে, জিনিসপত্রের অতিরিক্ত দাম, চাঁদাবাজিসহ ইত্যাদি কারণে আমাদের খাবারের দাম বেশি রাখতে হয়েছে। এখনো দেশে জিনিসপত্রের দাম তেমনভাবে কমেনি। কিন্তু চাঁদাবাজিটা কমেছে। চাঁদাবাজির কারণে লাভের একটা বড় অংশ চলে যেত। এখন চাঁদাবাজি নেই তাই প্রতি প্লেটে খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিচ্ছি। জিনিসপত্রের দাম কমলে খাবারের দামও কমবে।

হাসান মিয়া একজন সাধারণ যাত্রী। ব্যবসায়িক কাজে প্রায়ই সদরঘাটে যাওয়া আসা। তিনি বলেন, আগে সদরঘাটে বলতেই সবার আগে মাথায় আসতো দুর্নীতি, চাঁদাবাজ। তবে এখন এমন কোনো কিছুই আর দেখছি না।ভাড়াতেও এখন তেমন দুর্নীতি নেই। চাঁদাবাজরা সাধারণ মানুষদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছিল।এখন চাঁদাবাজীর কোনো সুযোগ নেই।

কাপড় ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম বলেন , আমার কাছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও কবি নজরুলের ছেলেরা এসে জোর করে চাদা তুলছিল। না দিলে ভয়ভীতি দেখাতো। কিন্তু বর্তমানে কেউ চাঁদা তুলতে আসে না। আমরা এখন খুব স্বস্তিতে আছি।

এবিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সলেমান বলেন, সদরঘাটের চাঁদাবাজিসহ অন্যান্য অনিয়ম বন্ধের জন্য আমরা আগে থেকেই কাজ করছি। এ ধারাবাহিকতা আমাদের চলমান থাকবে। বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য পরবর্তীতে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয় করবো।

এবিষয়ে সদরঘাট নৌ থানার সাব ইন্সপেক্টর আল আমিন বলেন, সদরঘাটে এখন চাঁদাবাজি নেই। মাদক কারবারের বিষয়টি আগেও ছিলনা এখনও নেই।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.